২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যে লাফিয়ে বেড়েছে আরএসএসের শাখা সংখ্যা। সংঘের আভ্যন্তরীন রিপোর্টে উঠে এল এই তথ্য। এই ঘটনায় তৃণমূল আমল দিতে চায়নি। তবে সিপিএমের দাবি, তৃণমূল-আরএসএস সখ্যতা নিয়ে তাঁদের দীর্ঘদিনের অভিযোগেই মান্যতা দিয়েছে এই রিপোর্ট। বাম নেতাদের দাবি, সরকারে তৃণমূল আছে বলেই বাংলায় আরএসএসের এই বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এই বছরও চলতি মাসের ১৫-১৮ তারিখে নাগপুরে বসবে সংঘের বার্ষিক বৈঠক। তার আগেই বাংলায় সংগঠনের শক্তিবৃদ্ধিতে খুশি সংঘ চালকরা। সংঘ নেতা অজয় নন্দীর দাবি, রাজ্যে সংগঠনের শাখা বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সামাজিক কর্মসূচিও। বিভিন্ন জেলায় সংগঠন বাড়লেও মূলত এই বিস্তার ঘটেছে হুগলির উত্তরাংশ, দুই মেদিনীপুর, ও হাওড়া গ্রামীণ এলাকায়।
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে যাবে। তার আগে সংঘের এই ব্যাপক বিস্তারে কিছুটা স্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। কারণ গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট বৃদ্ধির পিছনে এই সংগঠনের যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা ছিল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।