রবিবারের পর সোমবারও কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হল হাওড়ায় । সেইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোনা এবং হিরের গয়না । এর পাশাপাশি দু’টি ল্যাপটপ, একটি টেবল-সহ বেশ কিছু ব্যাঙ্ক নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । রবিবার সকালে হাওড়ার মন্দিরতলার বাসিন্দা ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ । সেখান থেকেই উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা । সোমবার সকাল পর্যন্ত সেই অভিযানে মোট ৮ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে । এদিকে, এই কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের হাতে একটা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে ।
কলকাতা পুলিশের অনুমান, শৈলেশ পাণ্ডে বিদেশ থেকে কালো টাকা এনে সাদা করতেন । বিভিন্ন ব্যাঙ্কে (bank account) ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলতেন । তাঁর মাধ্যমেই চলত কালো টাকা সাদা করার কারবার । তদন্তকারীদের ধারণা, কোনও ধরনের আর্থিক তছরুপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ওই ব্যবসায়ী । উল্লেখ্য, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণে অর্থের লেনদেন দেখে সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশকে জানায় ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ । তার ভিত্তিতেই ওই অ্যাকাউন্টের মালিকের খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে পুলিশ । জানা যায়, ওই অ্যাকাউন্টের মালিক হাওড়ার ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে । সেই সূত্র ধরে রবিবার শিবপুরের ওই ব্যবসায়ীর আবাসনে অভিযান চালায় পুলিশ ।
প্রথমে ওই ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে নগদ ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয় । এরপর রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ব্যবসায়ীর আরও একটা ফ্ল্যাটে ঢোকে পুলিশ। তারপরই উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা। ঘটনার পর থেকে শৈলেশ পাণ্ডে ও তার পরিবারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আবাসনের দারোয়ানও এই বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি।