রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি মেনেই শেষ পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে রাজ্য নিরাপত্তা কমিশন। নবান্নের সম্মতিতে রাজ্য নিরাপত্তা কমিশনের পুনর্গঠন করলেন রাজ্যপাল লা গণেশন। কমিশনের চেয়ারম্য়ান অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তাঁর পরেই দ্বিতীয় সদস্য হিসাবে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই কমিশন দীর্ঘদিন ধরেই ছিল না। তার দায় অবশ্য পুরোপুরি তৃণমূল সরকারের নয়। অভিযোগ, বাম জমানাতেই এই কমিশনকে ভোঁতা করা হয়েছিল। তার জন্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারকে ভর্ৎসনাও করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটের পর ফের এই দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত বছরের জুন মাসে রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি পেশ করেছিলেন শুভেন্দু। আজ থেকে ১৬ বছর আগে রাজ্যে নিরাপত্তা কমিশন গঠন নিয়ে এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ে বলা হয়েছিল, সমস্ত রাজ্যকে নিরাপত্তা কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশন রাজ্যে পুলিশি কার্যকলাপের উপর নজর রাখবে। এমন ভাবে এই কমিশন গঠন করতে হবে যাতে রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে একটি স্বাধীন কমিটি হিসাবে অস্তিত্ব থাকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া রাজ্যের নিরাপত্তা কমিশনের বাকি সদস্যরা হলেন, মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্য পুলিশের ডিজি, অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়, রাজ্য মহিলা কমিশনের সভানেত্রী লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী, এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর মৃণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ও নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি।