উৎসব শেষ। এবার পুরোদমে পঞ্চায়েতের প্রচার শুরু। বিজেপি কিছু ভেবে ওঠার আগেই শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের ইঙ্গিত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথি থেকে আগামী পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু করবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ৩ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর থেকেই প্রচারের কাজ শুরু করবেন অভিষেক। তার আগে নন্দীগ্রামের দায়িত্ব নিয়েই খেলা শুরু করে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার বিজেপি ত্যাগ করে ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন বেশ কয়েকজন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ট নেতা। এদিন নিমতৌড়িতে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে তাঁরা বৈঠকও করেন। ঠিক হয়েছে ৪ নভেম্বর শুভেন্দু ঘনিষ্ট ওই নেতারা আবার তৃণমূলে ফিরে আসবেন। তাঁদের অভিযোগ, কথা রাখেননি শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের যে উন্নয়নের কথা বলা হয়েছিল, তা প্রায় দু বছর কেটে গেলেও হয়নি বলেও অভিযোগ বিক্ষুব্ধ ওই বিজেপি নেতাদের।
এদিকে, পঞ্চায়েত নিয়ে অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক দল। ইতিমধ্যেই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছে একটি দল। যাঁরা নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই গ্রামে গ্রামে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার রাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দফতর থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার নেতাদের ফোন করে প্রচারের কর্মসূচি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ পাওয়ার পরেই মঙ্গলবার থেকে জেলায় শুরু হয়েছে তৎপরতা। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, প্রচারের আগে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার নেতাদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকও করতে চান অভিষেক। যেখানে তিনি প্রচারের নির্দেশিকা জানিয়ে দেবেন।
এই ডিসেম্বরেই রাজ্যে শেষ হয়ে যাবে তৃণমূল সরকার। গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার এই কথাই বলে চলেছেন বিজেপি বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক মহলের মতে, তাঁকে পাল্টা কোণঠাসা করতেই কাঁথিকে প্রচারের হাতিয়ার হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরকেই পাখির চোখ করছে তৃণমূল। কারণ একসময় এই জেলায় ক্ষমতার রাশ ছিল শুভেন্দুর হাতে। তাই রাজনৈতির মহলের দাবি, এবারও পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলের কাছে সম্মানের লড়াই। তবে কাঁথি যাওয়ার আগে ৪ নভেম্বর ডায়মণ্ড হারবারে বিজয়া সম্মিলনী করবেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আমেরিকা থেকে চোখ অপারেশনের পর এটাই হবে তাঁর প্রথম প্রকাশ্য জন সমাবেশ।