সিবিআই হেফাজত থেকে এবার জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। আসানসোল আদালতে বুধবার তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকবেন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা। গরুপাচার তদন্ত মামলায় এদিন অনুব্রতকে আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এদিনও শুনানিতে সিবিআই আইনজীবী দাবি করেন, এখনই অনুব্রতকে জামিন দেওয়া হলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে। একইসঙ্গে অভিযোগ, এক জন সাধারণ মানুষ পদমর্যাদা আর ক্ষমতা ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। অনুব্রত সেই এলাকার জেলা সভাপতি, যেখানে গরু পাচার চক্র চলছে। নিজের পদ ব্যবহার করে তিনি পাচারের পৃষ্ঠপোষক হয়ে উঠেছিলেন। এটি একটি বৃহত্তর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। অভিযুক্ত অর্থের উৎস দেখাতে পারেননি। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ ও বাড়ির লোকেদের নামে। ফলে এদিনও সেই প্রভাবশালী তত্ত্বেই খারিজ হয় অনুব্রতর জামিন। এবং বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বুধবার আসানসোল (Asansol) আদালতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) । এদিন, দলের ভূমিকা, নেত্রীর (Mamata Banerjee) ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় তাঁকে । তৃণমূল নেতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, "দিদি আমার জন্য যা করেছেন, অনেক করেছেন ।"
উল্লেখ্য, অনুব্রতর প্রতি ঘাসফুল শিবির যে নরম, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বক্তব্যে । তৃণমূল নেত্রী প্রকাশ্যেই অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন । অনুব্রতকে কেন গ্রেফতার করা হল, এই নিয়ে এক সভায় প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যাোপাধ্যায় । মমতার সেই মন্তব্যের পরই আত্মবিশ্বাস বাড়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের । আগেই অনুব্রত তাঁর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতাকে বলেছেন, ‘জানতাম দিদি পাশে দাঁড়াবেন।’ এরপর বুধবার আরও একবার 'দিদি'-র প্রতি কৃতজ্ঞতা ঝড়ে পড়েছে অনুব্রতর গলায় । দলনেত্রী যে তাঁর জন্য অনেক করেছেন, সেকথা এদিন সাংবাদিকদের সামনে মন খুলে বললেন অনুব্রত।