দু'বছর পর নিজের রাজ্যে ফিরেছেন । তিহার মুক্তি ঘটেছে অবশেষে । মঙ্গলবারই বীরভূমের নিচুপট্টি এলাকায় নিজের বাড়িতে ফিরেছেন তৃণমূল নেতা । গত প্রায় দুই বছরে ৩০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন অনুব্রত । বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা রয়েছে । তবে, ফের দলের কাজে স্বমহিমায় অনুব্রত মণ্ডল । প্রতিদিন পার্টি অফিসে যাচ্ছেন । অনুব্রত ফেরার পর ভোলও বদলে গিয়েছে পার্টি অফিসের । বৃহস্পতিবার তৃণমূল কার্যালয় থেকে সাংবাদিক বৈঠকও করেন । জেল থেকে ফিরে এটাই প্রথম সাংবাদিক বৈঠক অনুব্রতর । সেখানেই অনুব্রতর মুখে শোনা গেল, পাপ-পূন্যের কথা । তাঁর কথায়, দু'বছর জেল খাটা হয়তো কোনও পাপেরই শাস্তি ।
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'আমার মেয়ে সাধারণ বাড়ির মেয়ে, নেতা নেত্রী নয় । তাও জেল খাটতে হল! নিশ্চয়ই ঈশ্বরের কাছে কোনও পাপ করেছিলাম সেই পাপের শাস্তি পেলাম । তবে আমি চাইব,সবাই একসঙ্গে চলুক কারও সঙ্গে কোনও অশান্তি যাতে না হয় ।' উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালে ১১ অগাস্ট বোলপুরের নিচুপট্টি বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ওই বছরই নভেম্বরে একই মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন তিনি । এরপর গরুপাচার মামলায় সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করে ইডি । প্রায় দুই বছর কন্যাসহ তিহাড়ে বন্দী ছিলেন অনুব্রত ।
চলতি বছর গরু পাচার মামলায় একে একে জামিন পান সুকন্যা ও অনুব্রত । গত মঙ্গলবাই বাড়ি ফিরেছেন অনুব্রত । বাড়ি ফিরেই পোস্তর বড়া, মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছেন অনুব্রত । প্রথম দিন অনেকটা সময়ে টানা ঘুমিয়েছেন । মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে আছে, জানিয়েছিলেন, কিন্তু বীরভূমের বৈঠকে এসেও অনুব্রতর প্রসঙ্গ না টেনেই কলকাতা ফেরেন মমতা ।
বীরভূমে ফিরে অনুব্রত জানান, তাঁর পায়ে ব্যথা খুব ব্যথা । তৃণমূল কার্যালয়েও যান অনুব্রত । সেখান থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন অনুব্রত । তিনি বলেন, 'এমএলএ থেকে শুরু করে সব এলাকার নেতা, সভাধিপতি সবাই একসাথে মিলে চলতে হবে। যেমনটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ।'
বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন অনুব্রত । আগামী সপ্তাহেই চিকিত্সার জন্য কলকাতায় আসবেন বলে জানিয়েছেন অনুব্রত । সেইসময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন অনুব্রত, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।