ময়না-তদন্তের রিপোর্টে (post mortem report) কী পাওয়া গিয়েছে, সেই তথ্য এখনও সামনে আসেনি। তবে কাশীপুরে বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার (Arjun Chaurasia) মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে একটি গাড়ি। মৃত্যুর রাতে এলাকায় ওই গাড়ির উপস্থিতি নিয়ে অর্জুনের পরিবারের তরফে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অ্যাডিশনাল ওসি-র নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই একটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অর্জুনকে খুন করা হয়েছে বলে রবিবারেও তাঁর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়। ঘটনার রাতে একটি হুমকি কানে এসেছিল বলে সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন অর্জুনের মা। মৃতের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনার দিন দীর্ঘ সময় একটি গাড়িটি এলাকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়ি থেকে এক জনকে নামতেও দেখা গিয়েছিল। মৃতের দাদা বলেন, ‘‘ওই গাড়িকে এর আগে কোনও দিন এলাকায় দেখিনি। ওটা সে-রাতে সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। তার পরে ভোররাতে চলে যায়।’’ এলাকার গাড়ি হলে ভোররাতে চলে যাবে কেন, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
কাশীপুরকাণ্ডে গঠিত সিট, সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় পরিবার
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শনিবারেই আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চার ঘণ্টা ধরে অর্জুনের দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে। চারটে ভিডিয়ো ক্যামেরার মাধ্যমে ময়না-তদন্তের প্রতিটি ধাপের রেকর্ডিং করা হয়েছে। মঙ্গলবার মুখবন্ধ খামে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এবং পেনড্রাইভের মাধ্যমে ময়না-তদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ডিং হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পেশ করা হবে।