‘এমএ ইংলিশ চায়েওয়ালি’,‘এমএ চাওয়ালার’ পরে, এবার ‘বি.টেক চাওয়ালা’ (B.tech Cha Wala)। ঠিকানা কানির মোড়, মালদা । দুই ইঞ্জিনিয়ারের চায়ের দোকান । আজ যখন বড় বড় সংস্থায় তাঁদের কাজ করার কথা, তখন চায়ের দোকান খুলেই সংসার চালানোর কথা চিন্তা করতে হচ্ছে মালদার আলমগীর খান ও রাহুল আলিকে । যদিও, তাঁদের মতে কোনও কাজই ছোট নয় । আর সেকারণেই দোকানের নাম বি. টেক চাওয়ালা (Malda B.tech Cha Wala) ।
ইংরেজ বাজার স্টেশন রোডের কাছেই শাড়ি, জামাকাপড় অন্যান্য খাবার দোকানের মাঝেই জ্বলজ্বল করছে ‘বি.টেক চাওয়ালা, আ প্লেস টু টক’। আর পাঁচটা মোড়ের মাথার চায়ের দোকানের মতো নয় । দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে চা যেমন খেতে পারবেন, ভিতরে বসার ব্যবস্থাও রয়েছে । চা খেতেই ভাল গল্প করা যাবে । দোকানের ভিতর সাজসজ্জায় সৃজনশীলতা চোখে পড়বে । রবিবার রাতে,নতুন বছরের প্রথম দিন তাঁদের চায়ের দোকানের উদ্বোধন হয় । এখন দুই ইঞ্জিনিয়রের চায়ের দোকান ও তাঁদের গল্প নেটমাধ্যমে ভাইরাল ।
আরও পড়ুন, Snowfall in Darjeeling: দার্জিলিংয়ে বন্ধ তুষারপাত, রাজ্যজুড়ে বাড়বে ঠাণ্ডা, হতাশ পর্যটকদের একাংশ
‘বি.টেক চাওয়ালা’ দোকানের মালিক মালদার বাসিন্দা আলমগীর খান ও রাহুল আলি । আলমগীর ২০১৭ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করেন । পরে বি.টেকও করেন । ওই বছরই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করেন রাহুল । কিন্তু, ২৭ বছর বয়স হয়ে গেলেও একটা চাকরি এখনও তাঁরা পাননি । আলমগীরের কথায়, চাকরির আশায় বসে থাকলে, বয়স থেমে থাকছে না । তাই বাধ্য হয়ে কিছু করার জন্য চায়ের দোকান খুলেছেন । একই বক্তব্য রাহুলেরও । তাঁদের কথায়, কোনও কাজই ছোট নয় ।
আলমগীরের বাবা ঢালাই মেশিন ভাড়া দিয়ে পাঁচ ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কোনওরকমে সংসার চালায় । কষ্ট করে বড় ছেলেকে পড়িয়েছেন । রাহুলের বাবা মনসুর আলি পেশায় ট্যাক্সি চালক । আলমগীরের বাবার কথায়, বিটেক পাশ ছেলে চায়ের দোকান খুলছে শুনে অনেকেই কথা শোনাবেন । কিন্তু,বসে থাকার চেয়ে চায়ের দোকান খোলা অনেক ভাল । আলমগীর ও রাহুলের উদ্য়োগকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা ।