মালবাজারে বিসর্জনের সময় হড়পা বানে প্রাণহানির ঘটনায় রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে এই ঘটনাকে 'ম্যানমেড' আখ্যা দিয়েছেন। এবার সেই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে পাল্টা বিবৃতি দিল প্রশাসন। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনাকে 'ম্যানমেড' বলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। সরকারের দাবি, অত্যন্ত যত্নসহকারেই বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জলোচ্ছ্বাসের কোনও আগাম খবর পাওয়া সম্ভব ছিল না৷ প্রশাসন সচেষ্ট থাকায় জীবনহানি কম হয়েছে।
Tele Serial TRP : প্রথম স্থান হারাল গাঁটছড়া, ভাল ফল 'জগদ্ধাত্রী'-র, টিএরপি তালিকায় প্রথম কে ?
শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থলে যান রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ওই দলে ছিলেন
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণ, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়, বীরপাড়া-মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। তাঁরা দাবি করেন, এই ঘটনা ম্যানমেড, প্রয়োজনের তাঁরা আইনি লড়াই লড়বেন।
প্রশাসনের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তাদের তরফে যথেষ্ট যত্নসহকারে পাকাপোক্ত ভাবে বিসর্জনের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, স্থানীয় মাল প্রশাসন, পুলিশ, মাল পুরসভার প্রচেষ্টায় জীবনহানি অনেকাংশে কম করা গিয়েছে। অন্তত ৪৫০ জন মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে দাবিবকরা হয়েছে বিবৃতিতে।
রাজ্য সরকারের তরফে আরও বলা হয়েছে, 'সেই দিন উত্তরবঙ্গে কোনও অস্বাভাবিক বৃষ্টি হয়নি। রাজ্যের বাইরে মাল নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাতে বৃষ্টি হয়েছিল কি না কিংবা মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে এই জলোচ্ছ্বাস এসেছিল কি না, তা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফলে এই জলোচ্ছ্বাসের কোনও আগাম খবর পাওয়া সম্ভব ছিল না।’