বহরমপুরের গোরাবাজার থেকে সুইমিং পুলের গলি হাঁটাপথে মাত্র পাঁচ মিনিট। সোমবার সন্ধ্যায় সুতপাকে খুন করার পর লাফিয়ে গলি পেরিয়ে মেসে উপস্থিত হয়েছিল সুশান্ত। মেসের মালিক সুচিত্রা নাহার কাছে চাবি চেয়ে সুশান্ত জানিয়েছিল সে মেস ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সুতপাকে খুনের নির্লিপ্তভাবেই মেসে ফিরে এসেছিল সে। গত ১৮ এপ্রিল থেকে সে ওই মেসে ছিল। নিজের নাম-পরিচয় দিয়ে সেই অনুযায়ী মেসে নথিপত্রও জমা দিয়েছিল সে।
পুলিশি জেরায় একের এক তথ্য উগড়ে দিয়েছে অভিযুক্ত সুশান্ত। সুতপাকে খুনের জন্য তৈরি হয়েই বহরমপুরের ওই মেসে ঢুকেছিল। কাজ সারার পর আবার ওই মেসে ফিরে যায় সে। সেখানেই সুশান্ত বদলে নেয় সুতপার রক্তমাখা টি শার্টও। এরপর গাড়ি পাল্টে পাল্টে সে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সন্ধ্যায় বহরমপুরের জনবহুল গোরাবাজারে প্রকাশ্যে খুন হন কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরী। প্রকাশ্য রাস্তায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। এরপরই শহরের মেস ও তার আবাসিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আতঙ্কে মেস ছেড়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বহু ছাত্রী। অভিভাবকদের দাবি, যেভাবে বিনা বাধায় প্রকাশ্যে খুন হয়েছেন সুতপা, তারপর মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা শঙ্কিত।