ভবানীপুরে গুজরাতি দম্পতির রহস্য-মৃত্যুতে (Bhawanipur couple murder update) কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) । উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ফোন করেন তিনি । এই ঘটনায় যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । পাশাপাশি, ওই দম্পতির মেয়েকেও ফোন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।
ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডের ফ্ল্যাট থেকে সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হয়েছে ব্যবসায়ী দম্পত্তির রক্তাক্ত দেহ (Bhawanipur couple murder update)। গুজরাতি দম্পতি অশোক শাহ এবং তাঁর স্ত্রী রেশমি শাহকে খুন করা হয়েছে বলেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান । ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ । বাড়ির পরিচারিকাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । মঙ্গলবার তাঁকে জেরা করে ভবানীপুর থানার পুলিশ । তিনি জানিয়েছেন, খুব ভাল মানুষ ছিলেন ওই গুজরাতি দম্পতি । পাড়ায় কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা ছিল না । প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রাস্তার ধারে ঘর বলে বাড়ির দরজা সবসময় বন্ধ রাখতেন ব্যবসায়ী দম্পতি । তবে কি পরিচিত কাউকে দেখেই দরজা খুলে দিয়েছিলেন ? সেই সুযোগেই বিনা বাধায় ভিতরে ঢুকে পড়ে আততায়ী ? নাকি জোর করে বাড়িতে ঢুকেছিল আততায়ীরা ? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন, Bhawanipur couple murder update: টিভি চলছে, আলমারি খোলা, মেয়ে দেখলেন ঘরে পড়ে মা-বাবার রক্তাক্ত দেহ
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা তদন্ত শুরু করেছে । প্রতিবেশীদের বাড়ি গিয়ে নাম ঠিকানা ফোন নম্বর এবং ওই ব্যবসায়ী দম্পতিকে তারা কতটা চেনেন সে বিষয়ে নথি সংগ্রহ করছেন । জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে সিসিটিভি ফুটেজই খুনের রহস্য সমাধানে অন্যতম হাতিয়ার । সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) ২ জনকে অস্পষ্ট দেখা গেলেও তারাই আসল খুনি নাকি অন্য কেউ খুন করে পালিয়েছে, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে তদন্তকারীরা । পুলিশ সূত্রে খবর, দম্পতি ২ টি মোবাইল ফোন পাওয়া যাচ্ছে না। তার খোঁজও চলছে ।
দম্পতির তিন মেয়ের মধ্যে একজন তাঁদের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটেই থাকতেন । ঘটনার সময় তিনি বাইরে ছিলেন । সওয়া ৬টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা খোলা । এর পর ফ্ল্যাটে ঢুকে বাবা ও মায়ের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পেয়ে তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন । ঘরে টিভি চলছিল, আলমারি খোলা ছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ভবানীপুর থানার পুলিশ, কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড স্কোয়াডের তদন্তকারী দল এবং অ্যাডিশনাল কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। সোমবার রাতেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও ঘটনাস্থলে পৌঁছন । তিনি জানান, দম্পতির শরীরে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া হিয়েছে ।