নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে এবার পূর্বতন বাম সরকারকে নিশানা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যাদবপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, এই বিষয়ে তাঁদের কাছে অভিযোগ এসেছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেলেই তাঁরা তদন্ত শুরু করবেন বলেও জানান ব্রাত্য।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে তাঁর দাবি, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী কোন কলেজে চাকরি করেন তা এতদিন কেউ জানতেন না। এরপরই এক কদম এগিয়ে তাঁর দাবি, সুজনের স্ত্রী ১৯৭৯ সালের আগে চাকরি পেয়েছেন। ১৯৭৯ সালে তৈরি হয়েছে কলেজ সার্ভিস কমিশন। আর এখানেই সুজন-পত্নীর চাকরি নিয়ে নিশ্চিত নয় সরকার। ফলে আদৌও তাঁর কোনও ইন্টারভিউ বা পরীক্ষা হয়েছিল কী না, তা নিয়ে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান ব্রাত্য।
আরও পড়ুন- Calcutta High Court: ২০১১ সালের পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুলের জের, ভরা আদালতে ক্ষমা চাইলেন এসএসসি চেয়ারম্যান
প্রথমে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন জেলবন্দি প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর তৃণমূলের তরফে একটি চিরকুট প্রকাশ করে। যদিও সেই চিরকুট নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এরপরই শুক্রবার সরকারের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।