রামপুরহাটে হিংসার (Rampurhat Violence) ঘটনায় এবার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry) । দিল্লি থেকে এমনই জানালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তাঁর আরও দাবি, বাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসবে ।
মঙ্গলবার দিল্লি যান সুকান্ত মজুমদার । সঙ্গে ছিলেন দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্য বিজেপি সাংসদ । সেখানে অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার । রামপুরহাটের ঘটনার কথা জানান । এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে বলেন, " অমিত শাহ তাঁদের আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে । রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে । রিপোর্ট পাওয়ার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি লেভেলের অফিসারদের একটি দল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এ রাজ্যে আসবে । "
ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নিন্দা করেছেন বিজেপি নেত্রী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) । তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু, মহিলা, শিশু কাউকে শেষপর্যন্ত ছাড়লেন না । অনুব্রত মণ্ডল একজন গুন্ডা । উনি বলছেন শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে । একটা শট সার্কিট থেকে সাত থেকে আটটা ঘর কীভাবে পুড়ে গেল ? এতগুলো লোক মরে গেল ! এসব বলে কিছু হবে না ।
আরও পড়ুন, Rampurhat Murder: রামপুরহাটের ঘটনায় রেয়াত নয়, হুঁশিয়ারি ফিরাদের, বিরোধীদের কটাক্ষ পার্থর
রামপুরহাটের ঘটনায় তৎপর রাজ্যপালও । রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিবের থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) । ট্যুইটারে লিখেছেন, "বীরভূমের রামপুরহাটে ঘটনায় স্পষ্ট যে রাজ্যে হিংসার রাজনীতি চলছে । আইনশৃঙ্খলা নেই । ইতিমধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে । আমি জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করছি । প্রয়াতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল । "
রামপুরহাটের ঘটনায় সিট ঘটন করেছে রাজ্যসরকার । নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে । মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বৈঠকে বসেন । সূত্রের খবর, কীভাবে ঘটনা ঘটল, স্থানীয় প্রশাসনের কতটা তত্পরতা ছিল, এ সব নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন ।