শিক্ষিকা শান্তা মণ্ডল (Shanta Mondal) বদলিকাণ্ডে এবার নয়া মোড়। গতকালই ৫ অগস্ট সকাল ১০টায় শিক্ষিকাকে বীরপাড়া গার্লস হাইস্কুলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সার্কিট বেঞ্চ। তবুও শুক্রবার দিনভর বাড়ি থেকেই বেরোলেন না শিক্ষিকা। দিনভর ঘরবন্দি ছিলেন তিনি। প্রতিবেশীরাও কয়েকবার তাঁকে বাড়ির বারান্দায় দেখেছেন বলে দাবি করেছেন। যদিও শিক্ষিকার ছোট বোনের দাবি, ‘দিদি কলকাতায় রয়েছেন।’ একই দাবি করেছেন শান্তাদেবীর আইনজীবী নিবেদিতা পালও। তবে শান্তাদেবী শনিবারের মধ্যে বীরপাড়া গার্লস হাইস্কুলে যোগ দেবেন কি না, তা কেউই স্পষ্ট করে বলতে চাননি।
২০১৯ সালে বীরপাড়া গার্লস হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষিকার পদে যোগ দেন শান্তা মণ্ডল। এরপর শিলিগুড়ির (Siliguri) অমিয় গোপাল চৌধুরী স্মৃতি বিদ্যালয়ে বদলি হয়। তবে সেখানে তিনি যোগ না দিয়ে ফের বদলির আবেদন করেন।
স্কুলে যোগ দেওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে শান্তা আবার বদলির জন্য রাজ্যের শিক্ষা দফতরে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে মধ্যশিক্ষা পর্যদ ২০২০-র ২২ ডিসেম্বর তাঁকে শিলিগুড়ির অমিয় গোপাল চৌধুরী স্মৃতি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা পদের নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু শান্তা ওই স্কুলে যোগ দেননি। তিনি আবার শিক্ষা দফতরে বদলির আবেদন জানান এবং আবারও তা মঞ্জুর হয়। তার পর বীরপাড়া থেকে শান্তা শিলিগুড়ি শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগপত্র পান।
এই বদলি প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিলিগুড়ি শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রসূনসুন্দর তরফদার। বৃহস্পতিবার এই মামলায় শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলে শান্তার নিয়োগপত্র বাতিল করে বিচারপতি নির্দেশ দেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে বীরপাড়া গার্লস হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা পদে যোগ দিতে।