অতিমারীর পর চেহারা বদলে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে ডেঙ্গি। কারোর চামড়া ফেটে রক্ত বেরোচ্ছে। শরীরের ভিতরেও রক্তপাত। প্লেটলেট, ভিটামিন কে দিয়ে রক্তপাত কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। কারোর আবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ধনুষ্টঙ্কার হলে রোগী যেমন বেঁকে যান, এ ক্ষেত্রেও তা-ই হচ্ছে। ডেঙ্গির এমন উপসর্গ নিয়ে রীতি মতোবিভ্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকেরা। রক্তচাপ বাড়ানোর চার রকম ওষুধ প্রয়োগ করেও তা বাড়ানো যাচ্ছে না। কিডনি ধীরে ধীরে কাজ করছে অনেকের ক্ষেত্রেই।
চিকিৎসকদের দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার ৪-৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। সংক্রমণের হার ২০১৩-১৪-র কাছাকাছি থাকলেও, ভয় দেখাচ্ছে ডেঙ্গির নিত্যনতুন উপসর্গ। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে যখন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তত ক্ষণে তাঁর মাল্টিঅর্গান ফেলিওর শুরু হয়ে গিয়েছে, এই ভয়াবহ উপসর্গ নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরাও।
এ বছর সংক্রমণের শুরুতে ভাবা হয়েছিল ডেঙ্গ থ্রি ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। ডেঙ্গি ভাইরাসের এই প্রজাতিতে রোগীর অবস্থা কখনই আয়ত্তের বাইরে চলে যায় না। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে উপসর্গের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে, অনেক ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা এত তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যাচ্ছে যে, চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।