আরজি কর কাণ্ডে মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা ও মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা পুলিশ তদন্তের কিনারা না করতে পারলে রবিবারের পর তদন্তভার যাবে CBI-এর হাতে দিয়ে দেওয়া হবে। যদিও মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার দাবিতে সোমবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। পাশাপাশি পুলিশকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি তাঁদের। মোট ছয় দফা দাবি রয়েছে রয়েছে তাঁদের। আর চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে সমস্যায় রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা না করিয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁদের।
সোমবার সকাল থেকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চলছে জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতি। তবে মাতৃমা এবং জরুরি পরিষেবা চালু রয়েছে। এদিকে এদিন সকালেই এক রোগীর মৃত্যু হয় সেখানে। পরিজনের দাবি, চিকিৎসার অভাবেই মৃত্যু হয়েছে নজরুল মোমিন নামের ওই রোগীর।
উত্তর ২৪ পরগনার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সোমবার সকাল থেকেই কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। ফলে ওই হাসপাতালের আউটডোর পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবং জরুরি বিভাগে মাত্র ১ জন সিনিয়র চিকিৎসকের দেখা পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন রোগী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
একই চিত্র বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেও আউটডোর বন্ধ রাখা হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও পরিষেবা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ রোগী ও তাঁদের পরিবারের।
যদিও উল্টো ছবি দেখা যায় হুগলির ইমামবারা হাসপাতালে এবং আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে সকাল থেকে স্বাভাবিক পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোগীরা। তবে সোমবার বিকালে অরাজনৈতিক একটি মিছিলের ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা চালু ছিল। তবে জরুরি বিভাগের সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ফলে সমস্যায় পড়েন রোগীরা।
সকাল থেকে জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতির কোনও ছবি দেখা যায়নি বসিরহাট এবং তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে। অন্য দিনের মতো সোমবারও সব পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জেলার পাশাপাশি কলকাতার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল গুলিতে কর্মবিরতি চলছে চিকিৎসকদের। SSKM, NRS, RG কর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ সহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালেও চলছে কর্মবিরতি।