আশ্বিনের শারদ প্রাতে বাঙালি মেতে উঠেছে দুর্গোৎসবে। চারিদিকে খুশির হাওয়া। দুর্গা পুজোর আজ মহা পঞ্চমী। করোনা অতিমারি কাটিয়ে উঠতেই মণ্ডপে মণ্ডপে পৌঁছে গিয়েছে আপামর বাঙালি। এই বছর পুজো মূল পর্বে প্রবেশ করার আগেই মণ্ডপগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। চতুর্থীর রাত থেকেই পুজো শুরুর স্বাদ নিতে শুরু করে দিয়েছে রাজ্যবাসী। পঞ্চমীর সকালেও দেখা যাচ্ছে একই ছবি।
থিম পুজোর কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্যবাসী দেখে ফেলেছে বুর্জ খলিফার আদলের দুর্গা পুজোর মণ্ডপ। আর এই বছর দুবাইয়ের পর রাজ্যবাসীকে মালয়েশিয়া ঘোরার সুযোগ করে দিল নদীয়ার কল্যাণী আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাব ও ব্যবসায়ী সমিতির পুজো।
এবারে এই ক্লাবের দুর্গা পুজো ৩০ বছরে পা দিয়েছে। প্রায় চার মাস ধরে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই মণ্ডপের কাঠামো। এরপর প্লাইউড উপর আঠার সাহায্যে কাঁচ লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে মন্ডপ। চারপাশে সাজানো রয়েছে ফুলের বাগান। মাঝে রয়েছে ঝর্ণা। দুর্গার অলংকারও তৈরি করা হয়েছে কাঁচ দিয়ে।
চতুর্থীর সন্ধ্যেতে এই মণ্ডপের উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৫২ ফুট উঁচু এবং ১৩২ ফুট চওড়া এই মণ্ডপ দেখতে চতুর্থীর সন্ধ্যে থেকেই উপচে পড়েছে ভিড়। শুধু জেলাতেই নয়, গোটা রাজ্য থেকেই বিভিন্ন মানুষ ভিড় করেছেন।
পঞ্চমীর সকালে দেখা গেল একই ছবি। রাতের জাঁকজমক আলোর অপেক্ষা না করেই সকালবেলায় দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন এই টুইন টাওয়ার দেখতে। ভিড় হয়েছে চোখে পড়ার মতো। কল্যাণী সাব ডিভিশনের প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশকর্মী রয়েছেন ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে।