দু বছরের অতিমারী কাটিয়ে বেশ কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জীবন, বাংলা জুড়ে শারোদোৎসবের প্রস্তুতি। কৃষ্ণনগর ঘূর্ণির মৃৎশিল্পীদের এখন ভয়ানক ব্যস্ততা।
ঘূর্ণির মৃৎশিল্প নাম জগত বিখ্যাত , প্রতিবছর দেশ-বিদেশে পাড়ি দেয় শিল্পীদের হাতে তৈরি দুর্গা প্রতিমা। গত দু বছরে অতিমারির কারণে মৃৎশিল্পীদের বাজার ছিল যথেষ্টই মন্দা, যে শিল্পী ২০ থেকে ৩০ টি প্রতিমা তৈরি করতেন তিনি মেরে কেটে দুটো পাঁচটা প্রতিমার বরাত পেয়েছিলেন।
কৃষ্ণনগর ঘুর্নি পাল পাড়ায় প্রায় ৩০০ মৃৎশিল্পী রয়েছেন ছোট বড়, দীর্ঘ দু'বছর পর ওদের ঘরে যেন একটু আলো। তবে আক্ষেপ কি একেবারেই নেই? এরই মধ্যে বছরের শুরুতে করোনা ফের একটু চোখ রাঙ্গানোয় বরাত বেশ কয়েকটা কমেছে বই কি।
জিনিসপত্র অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমার মূল্য সেভাবে বাড়েনি বলে দাবি মৃৎ শিল্পীদের। দু বছরের অনিশ্চয়তায় অনেকে আবার পেশা বদলেছেন। তবে বহুদিন পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে মা আসছেন, আর তো সময় নেই! হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তাই নাওয়া খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন প্রতিমা শিল্পীরা।