কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জল বেড়েছিল ঝাড়খন্ডের একাধিক এলাকায়। যার ফলে চাপ কমাতে জল ছেড়েছিল DVC। কিন্তু সোমবার থেকেই জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দিল তারা। নতুন করে বৃষ্টি না হলে জল ছাড়ার পরিমাণ আগামী কয়েকদিন আরও কমিয়ে দেওয়া হবে। এর ফলে প্লাবনের যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
জানা গিয়েছে, সোমবার পাঞ্চেত জলাধার থেকে মাত্র ৪৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তবে মাইথন থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়া হয়নি। তবে বছরের অন্য সময়ের মতো বিদ্যুৎ তৈরির জন্য ৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। প্রসঙ্গত রবিবার পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১ লাখ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল।
একদিনে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ার ফলে একাধিক এলাকা প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন তিনি।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, মৌসুমী অক্ষরেখার কারণে বিগত কয়েকদিন ধরে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে ওই এলাকার নদীগুলিতে জল বাড়ছিল। সেকারণে ঝাড়খণ্ড থেকে জল ছাড়ার ফলে মাইথন, পাঞ্চেত, দুর্গাপুর সহ বিভিন্ন বাঁধে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছিল। আর সেকারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই জল ছাড়া হয়েছিল।
যদিও নবান্নের তরফে এবিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল, তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই জল ছেড়েছে DVC। যার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।