এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ছাত্রনেতাদের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি (Enforcement Directorate)
পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন কিছু ছাত্রনেতা। কলেজে ভর্তি নিয়ে আগেও তাঁদের কয়েক জনের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছিল। এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) বর্তমান ও প্রাক্তন একাধিক নেতানেত্রীর এই বিষয়ে ভূমিকা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ইডি।
Models Raped:মিউজিক ভিডিয়োর শুটিংয়ে বন্দুকবাজদের হামলা, লুটপাট করে ধর্ষণ ৮ মডেলকে
ইডির একটি সূত্রের দাবি, টাকার বিনিময়ে অনেককেই শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার ‘ব্যবস্থা’ করে দিয়েছেন তৃণমূলের ওই ছাত্রনেতারা। তাঁদের মধ্যে সংগঠনের রাজ্য স্তরের এক নেত্রী এবং মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার দুই প্রভাবশালী ছাত্রনেতাও রয়েছেন।
ইডি সূত্রের দাবি, ওই নেতানেত্রীরা অনেক চাকরিপ্রার্থীকে পার্থের ‘দরবারে’ পৌঁছে দিয়েছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ‘ডিল’ চূড়ান্ত হওয়ার পরে টাকার লেনদেনেও ভূমিকা ছিল তাঁদের। এর বিনিময়ে ওই নেতানেত্রীরা কী সুবিধা পেয়েছেন, তা জানতে তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এবং আয়ব্যয়ের খোঁজখবর শুরু করেছে ইডি।
শাসকদলের কোন কোন নেতার আত্মীয়-পরিচিতরা শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন, কারাই বা তৃণমূলে নাম লেখানোর সুবাদে নিয়োগের তালিকায় নাম তুলেছেন, তা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ইডি। দলের এবং শাখা সংগঠনের কোন কোন নেতানেত্রী নিয়মিত ভাবে সরাসরি পার্থর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন তা জানার চেষ্টা করছে ইডি আর সেই সূত্রেই উঠে এসেছে ওই নেতানেত্রীদের নাম।
ইতিমধ্যে এমন এক ছাত্রনেতাকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি পূর্ব শহরতলিতে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। ওই ফ্ল্যাট কেনা নিয়ে দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে। দলেরই একটি অংশ শীর্ষনেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বার বারই বলেছেন, তাঁরা কাউকে ‘আড়াল’ করার চেষ্টা করবেন না। ফলে পার্থের সঙ্গে যোগাযোগের নিরিখে ওই ছাত্র সংগঠনের নেতানেত্রীদের ডেকে পাঠানো হলে দল কী করে, তা নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিতদের সম্পর্কে দল যে কোনও ‘সহানুভূতি’-র মনোভাব পোষণ করছে না, তা স্পষ্ট। দলের এক প্রথমসারির নেতার কথায়, ‘‘এরা আড়কাঠির কাজ করেছেন এবং কিছু না-জেনে করেছেন বলে মনে হয় না। ফলে তদন্তের স্বার্থে যদি তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়, তা হলে তাঁদের উচিত ইডির কাছে গিয়ে জবাবদিহি করা।’’