রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী বছরের মার্চ- এপ্রিল মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে রাজ্যে। এর মধ্যেই বড়সড় সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দিল নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালের মতোই রাজ্য পুলিশ দিয়েই ২০২২ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে বলে কমিশন সূত্রের খবর।
যে কোনও নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশন আসন পুনর্বিন্যাস করে। একই সঙ্গে কোন আসন কাদের জন্য সংরক্ষিত, সেই তালিকাও প্রকাশ করা হয়। বুধবার ২২ জেলার পঞ্চায়েত আসন বিন্যাসের খসড়া প্রকাশ করবে কমিশন। ২২ টি জেলার মানুষের এই খসড়া সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানানো যাবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর সংশোধন পর্ব চলবে ৭-১৬ নভেম্বর পর্যন্ত। সব পক্রিয়ার পরে নভেম্বরে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে কমিশনের।
আরও পড়ুন: কুর্মিদের তফসিলি জাতিতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা, বিক্ষোভে আদিবাসী কল্যাণ সমিতি
এই তালিকা প্রকাশের পর গোটা ডিসেম্বর মাস জুড়ে প্রধান, উপপ্রধান, সভাপতি, সহ-সভাপতি, সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি পদ সংরক্ষণের কাজ চালানো হবে। এই কাজ শেষ হয়ে গেলে জানুয়ারি মাসে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তার পর মার্চ-এপ্রিল নাগাদ নির্বাচন করানো হবে। এবারেও ২০১৮ সালের মতো দু'দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
সব রাজনৈতিক দলের কাছেই এবার পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির কাছেও পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন বড়সড় চ্যালেঞ্জ। এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছিল ভোটে প্রহসন হওয়ার। রাজ্য পুলিশ দিয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা না করতে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। ফলে দাবি উঠেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর। কিন্তু ২০২২ সালের নির্বাচনও রাজ্য পুলিশ দিয়েই করানো হতে পারে বলে কমিশন সূত্রের খবর।