এই একটা দিনের জন্যই মুখিয়ে থাকে বর্ষা,মতিরানী,চম্পা,ফাল্গুনী,যুবরাজরা। বছরের এই দিনটায় সমস্ত কাজ থেকে ছুটি পায় ওরা। ওরা মানে ডুয়ার্সের গরুমারা, ধূপঝোড়া, মেদলার পিলখানার একাধিক কুনকি হাতি। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন গজরাজের পুজো হবে না, তাও কী হয়? প্রতি বছরের মতো এবারও তাই নিয়ম মেনে পুজো পেল পিলখানার হাতির দল। পুজোর পাশাপাশি ছিল স্পেশ্যাল মেনুর আয়োজন। মেনুতে চাল-ডালের পাশাপাশি ছিল বিভিন্ন ফলের বাহার। শনিবার এই বিশেষ পুজো দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরা। হাতিদের সঙ্গে সেলফিও তোলেন কেউ কেউ।
জানা গিয়েছে, প্রতিবছর ধূপঝোড়ার এলিফেন্ট ক্যাম্পের বন কর্মীদের পক্ষ থেকে এই বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। পুজো উপলক্ষ্যে এদিন সকাল থেকেই ধূপঝোড়া, গরুমারা ও মেদলার কুনকি হাতিদের নিয়ে মাহুতদের ব্যস্ততা ছিল চরমে। হাতিগুলিকে প্রথমে মূর্তি নদীতে ভাল করে স্নান করানো হয়। এরপর রঙিন চক দিয়ে তাদের গায়ে নানারকমের কারুকাজ ফুটিয়ে তোলা হয়। সবশেষে তাদের নিয়ে আসা হয় পুজো মন্ডপে। রীতিমতো শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনিও সহযোগে চলে পুজো।
আরও পড়ুন- Viswakarmapuja 2022 : চলন্ত ট্রেনেই দেবশিল্পীর আধারনা, ২৫ বছরে কোলফিল্ড এক্সপ্রেসের পুজো
স্থানীয় এক বনকর্মীর কথায়, ১৯৯৬ সাল থেকে এই অভিনব পুজোর সূত্রপাত। দেবতা বিশ্বকর্মার বাহন হিসেবেই পুজো পেয়ে থাকে ডুয়ার্সের এই হাতিরা। তবে শুধু বনকর্মীরাই নন, হাতিকে সেখানকার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই 'মহাকাল' হিসেবে পূজা করে আসছেন।