এবার রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতানোর অভিযোগ এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দিলীপ পাত্রকে। গাছে বেধে মারধরের অভিযোগ স্থানীয় গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। শনিবার এই ঘটনায় পুলিশ ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করেছে। দিলীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এলাকার বেশ কয়েকজন যুবকের থেকে লাখ লাখ নিয়েও চাকরি দিতে পারেননি। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা।
ডেবরার তিন নম্বর অঞ্চলের সত্যপুর এলাকায় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে ফাঁকা জায়গায় গাছের সঙ্গে দড়ি বেঁধে রেখে রাখা হয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা তথা ডেবরা ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ পাত্রকে। আড়াই বছর আগে এই এলাকার এক যুবকের থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রেলে চাকরি দেওয়ার। কিন্তু কলকাতায় গিয়ে ওই যুবক কার্যত খালি হাতে ফিরে আসেন। তারপর থেকেই দিলীপের উপর ক্ষেপে ওঠে স্থানীয় আদিবাসী এলাকার বাসিন্দারা।
চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। একইসঙ্গে দাবি করেছেন, তিনি নন, আসলে রেলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল রোহিত বলে কলকাতার এক বাসিন্দার। রোহিতের কথা মতোই গ্রামের ছেলেদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিনি।