কবে আসবে বকেয়া ডিএ ? দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে এবার এই প্রশ্নও উঠে গেল। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে দিদির দূত হিসাবে গিয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়। যিনি বাঁকুড়ার মেয়ে। সরকারি কর্মচারিরা কবে তাঁদের বকেয়া ডিএ পাবেন, সাংসদকে সেই প্রশ্নই করেন স্থানীয় জেনাডিহি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক সাক্ষীগোপাল মণ্ডল। মালা রায়ও তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করেন। জানতে চান কোনটা বড়, স্কুলে শিশুদের ভবিষ্যৎ নাকি ব্যক্তিগত ভাবে ডিএ-র কথা। প্রধান শিক্ষকের এহেন প্রশ্নে বিব্রত স্থানীয় পঞ্চায়েতের নেতা নিমাই মাঝি। তিনি সাক্ষীগোপালের শাস্তি দাবি করেন।
আবাস থেকে স্থানীয় সমস্যা, এর আগে রাজ্যের শাসক দলের এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বারবার গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের বিভিন্ন বিধায়ক ও সাংসদকে। কিন্তু গঙ্গাজলঘাটির ঘটনা অন্যমাত্র দিল বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। গত ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ডিএ মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে মার্চে।
স্কুল ঘুরে দেখার পর সাংসদ মালা রায়ের অভিযোগ, এই স্কুলের পরিকাঠামোর অবস্থা খুব খারাপ। মিড মিল যে চুরি করা হয়, তার প্রমাণও রয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক পড়ুয়াদের দিকে নজর না দিয়ে, নিজের ডিএ নিয়েই ব্যস্ত আছেন। সাক্ষীগোপাল মণ্ডলের পাল্টা দাবি, মিড মিল নিয়ে অহেতুক অভিযোগ করা হচ্ছে। ডিএ নিয়ে প্রশ্ন করতেই এই অভিযোগ বলেও দাবি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের।
যদিও এই স্কুল নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও অভিযোগ নেই বলেই দাবি করেছেন প্রাথমিক বিভাগের জেলার স্কুল পরিদর্শক জগবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায়।