প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরের পঠনপাঠন শুরু হতেই সামনে এল ভয়াবহ ছবি। দেখা গেল, এবিসি ভুলে গিয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ারা। ভুল হচ্ছে যোগ-বিয়োগেও।
যে-পড়া সেরে ফেলার কথা প্রাক্-প্রাথমিকে, এখন সেটা পড়াতে হচ্ছে দ্বিতীয় শ্রেণির অনেক ছাত্রছাত্রীকে! লিখতে দিয়ে তাঁরা দেখলেন, এবিসিডি ভুলে গিয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের অনেকেই। তৃতীয় শ্রেণির বহু পড়ুয়া ব্ল্যাক বোর্ড দেখে বাংলা লিখতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে বার বার।
অতিমারিতে ‘লার্নিং গ্যাপ’ বা ‘শিক্ষা-ফাঁক’ যে ভয়াবহ ফাটলের রূপ নিয়েছে, স্কুল খুলতেই তা স্পষ্ট হল শিক্ষকশিক্ষিকাদের সামনে।
আরও পড়ুন: Presidency University: হিন্দু হস্টেল খোলার দাবি, রাতভর প্রেসিডেন্সিতে পড়ুয়ারা
একটি বেসরকারি সংস্থা সমীক্ষা করে সম্প্রতি জানিয়েছিল, প্রায় দু’বছরের করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনায় মারাত্মক পিছিয়ে পড়েছে প্রাথমিকের পড়ুয়ারা। সেই সমীক্ষা-রিপোর্ট দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।
তবে প্রথম দিনের হাজিরা উল্লেখ করার মতো। প্রাথমিকে হাজিরার হার ছিল ৭৩.৩৩%, উচ্চ প্রাথমিকে ৬০.৭৩%।