নদিয়ার হাঁসখালির (Nadia Hanskhali) ঘটনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে চাপানউতোর চলছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায় (Namkhana) গৃহবধূকে গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগ ভাসুর সহ তিনজনের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারারও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। নামখানা থানার পাতিবুনিয়া ২ ঘেরি এলাকার ঘটনা। সোমবার পুলিশের কাছে গণধর্ষণের অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। বাকিরা পলাতক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার স্বামী কর্মসূত্রে বকখালি (Bokkhali) থাকেন। বাড়িতে একমাত্র পুত্র সন্তানকে নিয়ে থাকেন ওই মহিলা। অভিযোগ, স্বামী বাড়ি না থাকার সুযোগে বৌদিকে কুপ্রস্তাব দিতেন ভাসুর অমল খাটুয়া। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দুই সঙ্গীকে ডেকে ছাদে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে সে। তারপর তাকে প্রচন্ড মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগও আছে। মহিলার চিৎকার করায় পরিবারের বাকি সদস্যরা চলে আসে, তখনই পালায় ভাসুর ও তার সঙ্গীরা।
আরও পড়ুন: 'রেপ বলবেন নাকি প্রেগনেন্ট বলবেন নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন', প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
মহিলা লজ্জায় ও ভয়ে পুরো বিষয়টি প্রথমে চেপে যান। পরে শনিবার সন্ধ্যা থেকে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকেনা তাঁকে নামখানা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর রবিবার সকালে কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঘটনায় নামখানা থানার পুলিশ ধর্ষণের একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।