শরতের রোদই জানান দিচ্ছে পুজোর আর বেশি দিন বাকি নেই। প্রায় রোজই বাংলার একাধিক জেলার পুজো ঘুরে দেখাচ্ছে এডিটরজি বাংলা। আজ ঘুরে দেখাব ঝাড়গ্রামের জাগ্রত কেঁদুয়াবুড়ির পুজো। দুর্গা এখানে দশভুজা নন, কেঁদুয়াবুড়িকেই পুজো করা হয় শারদীয়ায়।
ঝাড়গ্রাম (Jhargram) থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বালিপাল গ্রাম, সেখানেই গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত এই গ্রামে মা কেঁদুয়াবুড়ির থান।
চিরাচরিত পিতৃতন্ত্র, ব্রাহ্মন্যবাদকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করে এই পুজো। কেঁদুয়াবুড়ির পুজোয় পৌরহিত্য করেন বাগদি সম্প্রদায়ের ‘দেহুরি’।
লোকমুখে প্রচলিত, পুরীর রাজকুমার বলিপালদেব আনুমানিক ৫০০ বছর আগে ক্ষুধার্থ অবস্থায় এই এলাকার একটি নিমগাছের তলায় বসে বিশ্রাম নেন । এক উপজাতি কিশোরীর রূপ ধরে দেবী বলিপালদেবকে কেন্দ ফল খেতে দেন। পরে স্বপ্নাদেশ দিয়ে বলেন দেবী পুজো চান । তবে, দেবীর শর্তও ছিল, সমাজের প্রান্তজনেদের কাছ থেকেই পুজো নেবেন, তাও কোনও মন্দিরে নয়, খোলা আকাশের নীচে। সেই থেকে এই পুজোর সব আয়োজন করেন বাগদিরাই।