বিধানসভায় (West Bengal Assembly) পেশ করা হল রাজ্য বাজেট। তার পরেই ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
বাজেট পেশ করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, কৃষি এবং কৃষি বিপণনে প্রায় ১০ হাজার কোটা টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। চন্দ্রিমা জানান, কৃষি বিপণনে ৪০৩.৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে ৯হাজার ৩১০.২০ কোটি বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। প্রাণী সম্পদ উন্নয়নে এক হাজার ২৬৬ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বাজেট পেশের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। অতিমারী পরিস্থিতিতেও রাজ্যের আয় বেড়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৩.৭৬ গুন বেড়েছে।
আরও পড়ুন : Abhishek Banerjee: গোয়ায় মাটি কামড়ে পড়ে থাকবে তৃণমূল, জানালেন অভিষেক
মমতা আরও বলেন, কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে ১১.৩ শতাংশ। রাজস্ব আদায় ৩.৭৬ গুণ বেড়েছে। নারী ও শিশুকল্যাণে ১৭.৫ গুন বরাদ্দ বেড়েছে। ৭৮ লক্ষ কৃষককে সাহায্য করছে রাজ্য।
মমতা জানান, বাজেট বরাদ্দ ৮ গুণ বেড়েছে।অতিমারীর মধ্যে আয় বেড়েছে রাজ্যের।শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে১ কোটি সাড়ে ৪ লক্ষ স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। তিনি জানান, দিল্লির কাছে রাজ্য ৯০ হাজার কোটি টাকারও বেশি পায়। তাজপুর, দেউচা পচামিতে শিল্প হবে বলেও জানান মমতা। তাঁর দাবি, শুধু বাংলাই সরকারি কর্মীদের পেনশন দেয়।
মমতা আরো বলেন, সামাজিক পরিষেবায় বরাদ্দ ১০.৭ গুন বেড়েছে। পরিকাঠামোর বরাদ্দ ৬ গুন বেড়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বরাদ্দ ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। ফ্ল্যাট-বাড়ি কেনাবেচায় স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড় থাকবে। সার্কেল রেটেও ১০ শতাংশ ছাড়ের কথা জানান মমতা। সিএনজি চালিত যানবাহনের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফি ও রোড ট্যাক্স মকুব করা হবে।
২ বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ও রোড ট্যাক্স মকুবের কথাও জানান মমতা।