উন্নয়ন ঝড়ে রাজ্য়ে বামেদের (Left) শেষ দূর্গ বলে পরিচিত শিলিগুড়িতেও (Siliguri) কব্জা করল শাসক তৃণমূল কংগ্রেস (Tmc)। সোমবার চার পুরসভার ফলে রাজনৈতিক মহলের দাবি, শিলিগুড়িতে তৃণমূলের জয় সবচেয়ে বড় চমক। তাঁদের মতে, এই জয়ের পিছনে আছে সরকারের একাধিক প্রকল্পের সাফল্য। রাজনৈতিক মহলের দাবি, পুর-এলাকার আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা ১৪টি ওয়ার্ডে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার থেকে লক্ষ্মীভাণ্ডার ইভিএমে তৃণমূলের পালে ভোট আনতে বিরাটভাবে সাহায্য করেছে। এমনকী, বিজেপির বিধায়ক এবং বিজেপির সাংসদ থাকা সত্ত্বেও এই ১৪টি ওয়ার্ডের সবকটিতে জিতেছে তৃণমূল। গত বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে মাত্র দুটি ওয়ার্ডে জিতেছিল রাজ্যের শাসক দল।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, আসানসোল (Asansole), বিধাননগর (Bidhannagar,) এবং চন্দননগরে (Chandannagar) তৃণমূলের জয় একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। দেখার ছিল কত বেশি ওয়ার্ডে (Word) জিততে পারে রাজ্যের শাসক দল। ফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, শিলিগুড়ি তো বটেই তাদের দখলে থাকা বাকি তিনটি পুরসভাতেও প্রায় দ্বিগুণ ওয়ার্ডে জিতেছে রাজ্যের শাসক দল।
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গের মানুষ বুঝতে পেরেছেন, শিলিগুড়ি জয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার
শিলিগুড়িতে তৃণমূলের এই অভাবনীয় জয়ের পিছনে কারণ কী ? রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতার উন্নয়ন ম্য়াজিক। এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী থাকার সময় গৌতম দেবের কাজ। একইসঙ্গে শিলিগুড়ির মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে, মেয়র হিসাবে বর্ষীয়ান বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্যকে আর পছন্দ নয় তাঁদের। সেইসঙ্গে বিজেপির সাংগঠিক ভরাডুবিও তৃণমূলের জয়কে আরও সহজ করেছে বলেও দাবি রাজনৈতিক মহলের। কারণ, নিজের ওয়ার্ডেই হেরে গিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। যাঁকে সামনে রেখে শিলিগুড়ি জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল রাজ্য বিজেপি।
২০১৫ সালে ১৭টি আসন নিয়ে শিলিগুড়িতে বিরোধী আসনে বসেছিল তৃণমূল। আর এবার ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৭টি তাদের দখলে। অন্যদিকে বিধাননগরেও ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। সাইতিরিশ থেকে এবার দুটি ওয়ার্ড বেড়েছে। উল্লেখযোগ্য ফল আসানসোলে। ২০১৫ সালে ৭৪টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবার সেটা হয়েছে ৯১। পাশাপাশি চন্দননগরেও ২১ থেকে এবার ৩১ ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল।
আরও পড়ুন : 'নির্বাচন কমিশন অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র', চার পুরভোটে বিজেপির ফল নিয়ে তোপ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের
কলকাতার মতো এই চার পুরভোটেও ভোট শতাংশের বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বামেরা। শিলিগুড়িতে পুরভোট হাতছাড়া হলেও ভোট শতাংশে তারা দ্বিতীয় স্থানে। এমনকী, চন্দননগরেও বিরোধী হিসাবে উঠে এসেছে বামেরা। তবে বিধাননগরে এবার শূন্য বামফ্রন্ট।