নতুন বছরেই নতুন চমক। মাঝ আকাশে আর ইন্টারনেট ছাড়া থাকতে হবে না বিমান যাত্রীদের। কারণ এবার থেকে ডোমেস্টিক ফ্লাইটেও মিলবে ওয়াই-ফাই পরিষেবা। অর্থাৎ ফ্লাইট টেক-অফ করার পরও আপনি অনায়াসেই স্ক্রল করতে পারবেন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ইন্সটার মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ। তাও আবার বিনামূল্যে। জানুয়ারির ১ তারিখ থেকেই এই পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে।
তবে, এয়ার ইন্ডিয়ার সব বিমানে এই সুবিধা মিলবে না। সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার চিফ কাস্টমার এক্সপিরিয়েন্স অফিসার রাজেশ ডোগরা জানিয়েছেন, বর্তমানে মাত্র কয়েকটি বিমানেই বিনামূল্যে ওয়াইফাইয়ের পরিষেবা পাওয়া যাবে। যার মধ্যে রয়েছে এয়ারবাস এ৩৫০, বোয়িং ৭৮৭-৯ ও এয়ারবাস এ৩২১নিও মডেলের বিমান।
আসলে, বিমান অবতরণ করার পর যাত্রীদের ওয়াইফাই ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কারণ এই সময় ওয়াইফাই চললে বিমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নেভিগেশনের উপর প্রভাব পড়ে। সেই কারণেই এতদিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
'ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন' (ডিজিসিএ)-এর নিয়ম অনুযায়ী বিমান মাটি থেকে ১০ হাজার ফুট উপরে ওঠা পর্যন্ত এবং নামার সময়ে ১০ হাজার ফুট উপর থেকে মাটিতে না নামা পর্যন্ত ওয়াইফাই ব্যবহার করা যায় না। এখনও পর্যন্ত সেই নিয়ম বহাল রয়েছে।
তবে, এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, বিমান আকাশে উড়ে যাওয়ার পর ঠিক ১০ হাজার ফুট উপরে যাওয়া পর্যন্ত ওয়াইফাই ব্যবহার করা না গেলেও ১০ হাজার ফুটের উপরে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা।
এতদিন অনেক দেশই তাদের আকাশসীমায় ওয়াইফাই ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। কিন্তু ভারতীয় আকাশসীমায় তা করা যেত না। বর্তমানে অত্যাধুনিক পদ্ধতির এই ব্যবস্থা শুরু করতে চলেছে এয়ার ইন্ডিয়া।