সিবিআই (CBI) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে স্বস্তিতে মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) । সিবিআই-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। পাশাপাশি, রক্ষাকবচের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই মামলায় শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, সিবিআই (CBI) তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে । কিন্তু, মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই ।চার সপ্তাহ পর এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য । কিন্তু, তার আগের থেকেই সিবিআইয়ের স্ক্যানারে ছিলেন মানিকবাবু । বেশ কয়েকবার তাঁকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । এরপরই তিনি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন । সিবিআই তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ তোলেন । সেইসঙ্গে সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে রক্ষাকবচের আর্জি জানান । এদিন, সেই মামলার রায়েই কিছুটা স্বস্তি পেলেন মানিক ।
কিন্তু, এদিকে, মানিককে এখন ইডি হেফাজতেই থাকতে হবে । সম্প্রতি, ইডির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ চেয়েও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি । কিন্তু, সেই বিষয়ে রায়দান এখনও স্থগিত রয়েছে । তাই, সিবিআই মামলায় রক্ষাকবচ মিললেও, পুরোপুরি অস্বস্তি কাটছে না মানিকের ।
সম্প্রতি, ইডি দাবি করেছিল, পরিবারের লোকেদের নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank Account) খুলেছেন মানিক । শুধু তাই নয়, পরিবারের লোকেদের সঙ্গে বিভিন্ন অজ্ঞাতপরিচয় মানুষের নাম জুড়ে দিয়ে বেনামি জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে । এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতেই সেসব টাকা রাখতেন মানিক । ইডির দাবি, মানিকের পরিবারের লোকের নামে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাতে প্রচুর টাকা জমা পড়ত । সেই টাকার উৎস নিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসা করা হলেও তাঁর কাছ থেকে যথাযথ উত্তর পাওয়া যায়নি । ইডির দাবি, চাকরি বিক্রির টাকা অর্থাৎ ঘুষের টাকা জমা হত এসব অ্যাকাউন্টগুলিতে । ইডির আরও অভিযোগ, নিজের পদের প্রভাব খাটিয়ে ছেলের সংস্থার নামে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন মানিকবাবু ।