পানিহাটিতে (Panihati) তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর খুনের ঘটনার তদন্তে উঠে এল নতুন তথ্য। জানা গিয়েছে, প্রথমে খুনের বরাত দেওয়া হয় একজন সুপারি কিলারকে। কিন্তু টাকা নিয়েও সে খুন করেনি। তারপর নতুন সুপার কিলার ভাড়া করা হয়। প্রথম সুপারি কিলার 'কাজ' না করায় তাকে গুলিও করা হয়।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করা খুনি যে আদতে ‘সুপারি কিলার’, তা জানা গিয়েছিল সোমবারই। এর পরে মঙ্গলবার জানা গেল, অনুপমকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগেই। নিযুক্ত হয়েছিল আর এক সুপারি কিলার। কিন্তু সে টাকা নিয়েও খুন না করে চম্পট দেয়। সেই কারণে তার উপরেও হামলা হয়েছিল! নতুন করে খুনের 'বরাত’ দেওয়া হয়েছিল অমিত পণ্ডিতকে।
আরও পড়ুন: Panihati Murder: পানিহাটি কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার আরও ১, তদন্ত চলবে বলে জানালেন মনোজ ভার্মা
রবিবার অনুপমের মাথায় গুলি চালিয়ে খুনের অভিযোগে অমিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কালনা থেকে সঞ্জীব পণ্ডিত ওরফে বাপিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পানিহাটি পুরসভার পূর্ত বিভাগের ঠিকাদার ছিল সে। আজ, বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
অনুপমকে সরিয়ে দিতে কয়েক মাস আগে হরিণঘাটার মোল্লাবেলিয়ার এক সুপারি কিলারকে চার লক্ষ টাকা দিয়েছিল সঞ্জীব। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কাজ হচ্ছিল না। আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছিল না সে। তখন সঞ্জীবের নির্দেশে অমিতই গুলি চালায় সেই সুপারি কিলারের উপরে! তবে শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যায় সে।