বীরভূমের এই পুজোর বয়স প্রায় ৫০০ বছর। বীরভূমের ঐতিহ্যশালী দুর্গাপুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম লোকপুর থানার সগড়ভাঙা গ্রামের এই পুজো। এই পুজো এটাই প্রাচীন যে, পুজোর প্রচলনের ইতিহাস আর এখন কারও মনে নেই। তবে এখনও রীতিমতো ভক্তিভরে পুজোর আয়োজন করেন ধাওড়ে পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের এক সদস্যের কথায়, ১৯৭৮ সালের হিংলো নদীর জলে ভেসে যায় গ্রাম। গ্রামের মানুষ প্রাণ বাঁচাতে উঠে যান উঁচুস্থানে। জলের তোড়ে মন্দির ভাঙলেও পুজো বন্ধ হয়নি। তারপর থেকে চালা ঘরেই পুজো হত দেবীর। পরবর্তীকালে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং ধাওড়ে পরিবারের সদস্যরা যৌথভাবে এক নতুন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে সেই মন্দিরে পুজিত হন দেবী।
আরও পড়ুন- Durga Puja 2022 : দুর্গাপুজোর আগে বৃষ্টির অভাবে পদ্মের আকাল, মাথায় হাত হাওড়ার পদ্মচাষীদের
পুজোর এই পাঁচদিন উৎসবে মেতে থাকেন গ্রামবাসীরা। মায়ের টানে দূর দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন বহু মানুষ। কেউ দন্ডি কাটেন, কেউ বা চারদিন মন্দিরে বসে প্রার্থনা করেন। পুজো চারদিন সমস্ত আচার মেনেই মায়ের পুজো হলেও নবমীর দিন মন্দিরে ছাগ বলি হয়। ধাওড়ে পরিবারের দাবি, প্রতি বছর প্রায় ১০০টি করে ছাগ বলি হয় মায়ের নামে। পাশাপাশি, ওই পরিবারে এখনও পর্যন্ত মুরগির মাংসের চল নেই। এই রীতি বংশপরম্পরায় চলে আসছে বলেই দাবি।
তবে বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির বাজারে ওই পরিবারের পক্ষে পুজোর খরচ যোগাতে না পারায় গ্রামের মানুষকে নিয়ে একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়। বর্তমানে এই ট্রাস্টের তত্বাবধানে পুজো পরিচালিত হয়ে আসছে।