কৃষক,খেতমজুর, বিড়িশ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে রাজ্য। বছরে প্রায় ৩০০০ কোটির দুর্নীতি চলছে বিড়ি শিল্প থেকেই। লিজ নেওয়া জমিতে চাষ করে ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। বিড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কৃষক ও শ্রমিকদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে পিপলস ব্রিগেড সংগঠন। বৃহস্পতিবার বিড়ি শ্রমিকদের এইসব দাবি নিয়েই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ব্লকে জেলাশাসক, বিডিও অফিসে ডেপুটেশন জমা দেয় পিপলস ব্রিগেড। বিড়ি শ্রমিক ও খেতমজুরদের দাবি আদায় করতে প্রত্যেক জেলায় সদর দফতরে ডেপুটেশন জমা দেওয়াই লক্ষ্য এই সংগঠনের।
২০১৬ সাল থেকে পিপলস ব্রিগেডের পথচলা শুরু। সংগঠনের পক্ষ থেকে বাসুদেব নাগ চৌধুরী এডিটরজি বাংলাকে জানান, রাজ্যের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনাই তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, "২০১৬ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে প্রায় ১৫ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক আছেন। বর্তমানে সেই সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়েছে। গড়ে প্রত্যেকের দৈনিক মজুরি হওয়ার কথা ২৭০ টাকা। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। প্রত্যেক বিড়ি শ্রমিক পান গড়ে ১২০-১৫০ টাকা। বাকি অর্থ কোথায় যায়, তার কোনও হিসেব নেই সরকারের কাছে।" তাঁর অভিযোগ, একইভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন খেতমজুররাও। কৃষকবন্ধু কার্ড থাকলে, ফসলের ন্যায্য দাম পান কৃষকরা। কার্ড তাঁদেরই থাকে, যাদের নিজস্ব জমি আছে। রাজ্যের ৮০-৯০ শতাংশ কৃষক অন্যের জমিতে লিজ নিয়ে ফসল উৎপাদন করেন। নিপীড়িত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোই এই সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য বলেও জানান বাসুদেববাবু।