বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (BJP Nabanna Abhijaan) কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সাঁতরাগাছিতে (Santragachi) । প্রথমে বিজেপি কর্মীদের পুলিশের বাধা, শুরু হয় পুলিশ-বিজেপি কর্মীদের বচসা (Police-BJP clash) । ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান বিজেপি নেতা-কর্মীরা । পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ । মিছিল রুখতে পুলিশের তরফে পাল্টা জলকামান ছোড়া হয় । কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সাঁতরাগাছি (Clash in santragachi) ।
সাঁতরাগাছিতে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় পুলিশ ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে । গার্ডরেল টপকানোর চেষ্টা করে বিজেপি কর্মীরা । অভিযোগ, পুলিশের কিয়স্ক ভাঙার চেষ্টা করে তাঁরা । পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে দফায় দফায় ইটবৃষ্টি । ছোড়া হয় বোতলও । বোমা ফাটানোরও অভিযোগ ওঠে। এদিন, পুলিশের দিকে বাঁশ উঁচিয়ে ছুটতে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের । পাল্টা লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ । শেষে মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ ।
আরও পড়ুন, Suvendu Adhikari: মহিলা পুলিশের বিরুদ্ধে গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ, আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
এদিন,সাঁতরাগাছি থেকে অভিযান শুরুর আগেই আটক হন শুভেন্দু অধিকারী । একইসঙ্গে আটক করা হয় লকেট, রাহুল সিনহাকে। প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের । জানা গিয়েছে, বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ পিটিএসের সামনে আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারী এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা এবং সাংসদ। মহিলা পুলিশকর্মীরা কেন তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। ওই এলাকায় কর্তব্যরত আইপিএস আধিকারিককে ডেকে পাঠানোর দাবি তোলেন তিনি।