বলপ্রয়োগ করে সল্টলেক করুণাময়ী এলাকা থেকে টেট (TET) উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে দিল পুলিশ। মাঝরাতে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে আন্দোলনকারীদের সরানো হল। পুলিশের এমন আচরণের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিরোধী বাম এবং বিজেপি নেতারা।
সন্ধের পর থেকে পারদ চড়ছিল সল্টলেকে। মোতায়েন হয়েছিল বিরাট পুলিশবাহিনী। প্রতি ৫ মিনিট অন্তর মাইকিং করে উঠে যেতে বলা হচ্ছিল আন্দোলনকারীদের৷ পাল্টা স্লোগান দিচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের ঘিরে বসে ছিলেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা সজল ঘোষ সহ বিরোধী নেতৃত্ব।
রাত ১২টা পর্যন্ত বলপ্রয়োগ করেনি পুলিশ। সাড়ে ১২টার পর দ্রুত উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। মাত্র মিনিট কুড়ির মধ্যে টেনে হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। রাত১২টা ১৬ মিনিটে চাকরিপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চটিকে বেআইনি ঘোষণা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এরপর ১২টা ৩৬ মিনিট নাগাদ পুরো ফাঁকা করে দেওয়া হয় গোটা এলাকা। ফ্লেক্স, পোস্টার সরিয়ে দেওয়া হয়। মিনিট কুড়ির পুলিশি হস্তক্ষেপে শেষ হয়ে যায় ৮৪ ঘণ্টার আন্দোলন। তার আগে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ব্যপক ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। বহুজনকে আটক করা হয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিরোধীরা৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইটে তোপ দেগেছেন। সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। আজ, শুক্রবার বেলা ১২টায় করুণাময়ীতেই প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই।