বাঙালির জীবনের সঙ্গে একাকার হয়ে আছে ফুটবল (Football)। বিশ্বকাপে রাতের (Qatar World Cup) পর রাত জেগে প্রিয় দলকে সাপোর্ট করেছে বাঙালি। আর পেটুক বাঙালি যে মিষ্টির প্রতি দুর্বল তা কারও অজানা নয়। তাই বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে বাঙালির পছন্দের এই দুটি জিনিস মিলে গেল চন্দননগরের (Chandannagar) বুকে। তৈরি করা হল প্রায় দু'ফুট উচ্চতার এমবাপে সন্দেশ।
বিশ্বকাপ ফাইনালে (World Cup Final) ফ্রান্সের (France) জন্য গলা ফাটাতে তৈরি চন্দননগর। অলি-গলি সেজে উঠেছে ফ্রান্সের পতাকায়। কাতারের স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্স খেলবে তা উদযাপন করতে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে চন্দননগরের মিষ্টির দোকানে তৈরি হচ্ছে এমবাপের (Kylian Mbappé)মডেল। প্রায় দু'ফুট উচ্চতার এমবাপে সন্দেশ তৈরি করেছেন চন্দননগরের এক প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী ধনঞ্জয় দাস। ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিতলে এই মিষ্টির এমবাপে উৎসর্গ করা হবে চন্দননগরকে।
একসময়ে ফরাসিরা চন্দননগর শাসন করত। ফ্রান্সের আদলেই তখন সজানো হয়েছিল চন্দননগরকে। এখনও চন্দননগরের মানুষের মনে এখনও ফ্রান্সের প্রতি ভালোবাসা রয়ে গিয়েছে। আর তাই বিশ্বকাপ মহাযুদ্ধে মেসি গোটা বাংলার ভালবাসা পেলেও চন্দননগর তথা এক সময়ের ফরাসডাঙা যেন একটুকরো ফ্রান্স। তাই প্রিয় দল ও প্রিয় খেলোয়াড়ের প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য এই সন্দেশের এমবাপে তৈরি করেছেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী ধনঞ্জয় দাস।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার জন্য গলা ফাটাবে বাংলা, তৈরি ক্ষীরের মেসি
৬ ঘন্টার অক্লান্ত পরিশ্রমে নিপুন শিল্পকলায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এমবাপে সন্দেশ। দেখা শুধু এমবাপে নয় তাঁর সামনে মিষ্টি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ফুটবল ও গোলপোষ্ট। এমবাপে ফাইনালে গোল করবে বলেই আশাবাদী মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী ধনঞ্জয় দাস। তাঁর কথায়, চন্দননগরের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক বহু পুরানো। তাই ফুটবল বিশ্বকাপে বরাবরই ফ্রান্সকে সমর্থন করেন। ফ্রান্স ফাইনালে ওঠায় চন্দননগরবাসী হিসাবে গর্বিত বোধ করেন তিনি।