এতদিন বিষয়টা শুধুমাত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তা পাড়ার রকে হোক বা রাস্তার চায়ের দোকানে। কেউ কটাক্ষ করেছেন, কেউ আবার উদাসীনতা দেখিয়েছেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে যে তা গবেষণার বিষয় হতে পারে, তা ভেবে করে দেখিয়েছেন এই বাংলার এক মেয়ে। তিনি কণা সরকার। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ভূগোল বিভাগের এই ছাত্রীর গবেষণার বিষয়, 'গ্রামীণ চপশিল্প ও সংসার চালানোয় তার প্রভাব'। আর এই কাজ তিনি করেছেন, মালদহের গাজোলের এক ও দুই নম্বর ব্লক এবং করকোচ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
সব কাজই সমান। সবসময় এই তত্ত্বেই বিশ্বাস করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর এই বিশ্বাসেই বারবার উঠে এসেছে তেলেভাজা বিক্রির কথা। যা প্রচলিত ভাবে 'চপশিল্প' বলেই পরিচিত। মুখ্যমন্ত্রীর এই ভাবনাকেই নিজের গবেষণায় রূপ দিতে চেয়েছেন কণা। তাঁকে এই কাজে সাহায্য করেছেন রাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক তাপস পাল।
আরও পড়ুন : পদ্মার সেতু দেখতে মমতাকে ঢাকায় আমন্ত্রণ হাসিনার
কণার দাবি, গ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তিনি দেখেছেন, পথচলতি যে সব চপের দোকান দেখা যায়, তার উপরে প্রচুর মানুষ নির্ভর করে থাকেন। চপশিল্পের মাধ্যমে মহিলারা কতটা স্বনির্ভর হতে পেরেছেন সেটাও এই গবেষণার বিষয় বলেই দাবি কণার। ছাত্রীর সুরই শোনা গিয়েছে শিক্ষক তাপস পালের গলাতেও। তাঁর মতে, ভারতীয় অর্থনীতিতে ৮০ শতাংশের উপরে মানুষ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে গ্রামের মহিলাদের তেলেভাজা বিক্রি করে মাসিক আয় ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত। পুরুষদের ক্ষেত্রে সেই আয় ১৫ হাজার টাকার মতো।
তবে, প্রশ্ন উঠছে একটি লেখাকে কেন্দ্র করে ? চপশিল্প নিয়ে কণার যে গবেষণা পত্র সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, তার উপরে লেখা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপশিল্প ধারণায় অনুপ্রাণিত হয়ে গবেষণায় চপশিল্প। যদিও অধ্য়াপক তাপস পালের দাবি, ওটা প্রাথমিক কপিতে লেখা ছিল। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কাছে যে গবেষণাপত্র জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও নাম নেই।