কালী পুজো আসছে, বছর কয়েক আগে পর্যন্ত তা টের পাওয়া যেত লক্ষ্মী পুজোর পর থেকে শ্যামা পোকাদের দৌরাত্মে। হেমন্তে আবির্ভাব হতো ওদের। বেশ কয়েক বছর ধরেই কমে আসছে শ্যামা পোকা, এ বছর প্রায় দেখাই গেল না। খুব শিগগির কি হারিয়ে যাওয়া পোকামাকড়ের তালিকায় নাম উঠবে ওদের? বিলুপ্তির জন্য দায়ী কারা?
শ্যামা পোকার পোশাকি নাম গ্রিন লিফহপার। ধান উৎপাদনকারী রাজ্যেই এক মাত্র দেখা যায় এই শ্যামাপোকা। এদের প্রধান খাদ্য হল ধানগাছের রস। বাংলায় এই পোকাকে দীপাবলি উৎসবের বাহক বলেও ধরা হয়। আলোর উৎসের প্রতিই এদের ঝোঁক। আলো নিভে গেলে অনেক সময় শ্যামাপোকাকে খসে পড়তে দেখা যায়।
এই পোকা কিন্তু ধানের রোগ বয়ে আনে, ফলে ধানগাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। গাছের পাতার রং ফিকে হয়ে যায়। সেই জন্যই এই পোকা মারতে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, শ্যামা পোকাদের সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে এটা অন্যতম কারণ তো বটেই।
আরো একটি কারণ, জলবায়ুর বদল। খুব আর্দ্র পরিবেশ ছাড়া শ্যামাপোকা বাঁচতে পারে না। কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ বছর দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কম হওয়ায় শুষ্ক আবহাওয়ায় ক্রমেই কমছে শ্যামাপোকার সংখ্যা। তাছাড়া, কলকাতা এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ধানচাষ এখন আর হয় না। সে কারণেও শহরে শ্যামাপোকার সংখ্যা কমছে।