কব্জির পর থেকে হাত নেই। আপাতত কনুই পর্যন্ত পুরোটাই ব্যান্ডেজ বাধা। মানসিক, শারীরিক ধকল সত্ত্বেও হাসি মুখেই হাসপাতাল ছড়লেন কেতুগ্রামের রেণু খাতুন (Renu Khatun)। গাড়িতে ওঠার আগে, হাসপাতাল কর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে, দিয়ে গেলেন ভাল থাকার বার্তা।
লড়াইয়ের আরেক নাম বোধয় রেণু খাতুন। যাকে একসময় ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন, সেই রেণুর ডান হাতের কব্জিটুকু কেটে দিয়েছিল দিন দশেক আগে, যাতে সদ্য পাওয়া সরকারি চাকরিটা করতে না পারে রেণু। এতকিছুর পরেও জীবন যুদ্ধে হার মানার মেয়ে রেণু খাতুন (Renu Khatun) নয় । হাসপাতালের বেডে বসেই বাঁ হাত লেখালিখি শুরু করেছেন, চাকরির নিয়োগপত্রও পেয়েছেন।
Dev-Rukmini: পালকি তে চড়ে রুক্মিণী, সঙ্গে আছেন দেবও, মিয়াঁ-বিবির নতুন ছবি কি তবে বিয়ের ইঙ্গিত?
আপাতত রেণু সুস্থ, তবে ফিজিওথেরাপি-র পর চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন। মাস তিনেক পর প্রোস্থেটিক হাতও লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। রেণুর মতো আর যাদের লড়তে হচ্ছে একই রকম পরিস্থিতিতে, তাঁদের সকলকে হার না মানার বার্তা দিলেন রেণু।
সম্প্রতি নার্সিংয়ের (Nursing) সরকারি চাকরির প্যানেলে নাম উঠেছে রেণু খাতুনের। স্ত্রী হাতছাড়া হয়ে যাবেন, অভিযোগ, এই আশঙ্কা থেকে ঘুমের মধ্যে রেণুর হাত থেঁতলে কব্জি কেটে নেয় তাঁর স্বামী শেখ মহম্মদ। মঙ্গলবার শেখ মহম্মদ এবং তাঁর মা-বাবা অর্থাৎ রেণুর শ্বশুর শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।