মঙ্গলবার অনশনরত টেট পরিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক দীপ্সিতা ধর, রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতৃত্ব। দীপ্সিতা জানান, যারা আমরণ অনশনে বসেছেন, তাঁরা কোনও শখে এখানে বসছেন না, বাধ্য হয়ে বসছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো মা-মাটি-মানুষের মা, তিনি এই সন্তানদের কষ্টটা বুঝুন। রাজ্য সম্পাদক সৃজনের দাবি, সমস্ত যোগ্য টেট উত্তীর্ণদের চাকরি দিতে হবে। রাজ্য সরকার স্বচ্ছ শিক্ষক নিয়োগের পথে যেতে চাইছে না বলেও অভিযোগ বাম ছাত্র সংগঠনের। অন্যদিকে, মঙ্গলবারই অনশনকারী চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির আইনজীবী নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
মঙ্গলবার চাকরিপ্রার্থীদের পাশে এসে দাঁড়ান হাই-মাদ্রাসার শিক্ষকরাও। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর শিক্ষক জড়ো হন সল্টলেকে। রাজ্যের হবু শিক্ষকদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তাঁদের দাবি, এমতবস্থায় তাঁরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারেন না। অন্যদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের এই আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোর্টের বিচারাধীন বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না।
আরও পড়ুন- TET Hunger Strike: বুধবারও অনশনে চাকরিপ্রার্থীরা, সকাল থেকেই 'হল্লা বোল' স্লোগান করুণাময়ীতে
স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন টেট পরিক্ষার্থীরা। এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীও অনশন করে ক্ষমতায় এসেছেন, আমরা অরাজনৈতিক সংগঠন। আমরণ অনশন করব আমরা।” চাকরি না পেলে মৃত্যুবরণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আরেক চাকরিপ্রার্থীও। অন্যদিকে, টেট উত্তীর্ণদের এই বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধনের অভিযোগ পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের।