আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল। বাতিল করা হয় তার ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন নম্বরও। রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে শো-কজ করা হয়েছিল। এবার তার ডাক্তারির লাইসেন্সও বাতিল করা হল। অর্থাৎ নথিভুক্ত চিকিৎসকদের রেজিস্টার থেকে তাঁর নাম সরানো হল।
শো-কজ করার নির্দিষ্ট সময় পার গেলেও কোনও জবাব দেননি সন্দীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার আরজি কর কাণ্ডে হাসপাতালে দুর্নীতি ও তরুণী চিকিৎসককে খুনে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন সন্দীপ ঘোষ। টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষ বর্তমানে দুজনেই সিবিআই হেফাজতে। টালা থানার ওসি পল্লব বিশ্বাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই।
মঙ্গলবার মেডিকেল কাউন্সিলের সভাপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের সভাপতি পদে বর্তমানে রয়েছেন তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত রায়। চিঠিতে সুদীপ্তকে অনুরোধ করা হয়, যাতে 'ব্যক্তিগত সম্পর্ক' না রেখে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়।
গত ৯ অগাস্ট আরজি কর কান্ডে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার নেয় সিবিআই। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডে যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, সেই ঘটনার তদন্তভার পায় সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। গত ২ সেপ্টেম্বের আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ৬ সেপ্টেম্বরই সন্দীপকে শো-কজ করে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল। সেই চিঠিতেই জানানো হয়েছিল ৭২ ঘণ্টারর মধ্যে সন্দীপকে উত্তর দিতে হবে। শো-কজের উত্তর না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার কথা জানানো হয়েছে।