শনিবারের ব্রিগেড ছিল লালে লাল। দলের প্রতিষ্ঠাতা শিবদাস ঘোষের জন্মশতবর্ষের সমাপ্তি অনুষ্ঠান হিসেবেই ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছিল এসইউসি। আর সেই উপলক্ষ্য়ে ভিন রাজ্য থেকে দুটি ট্রেন ভাড়া করে এসেছিলেন কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি এরাজ্যেও বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী ও সমর্থকরা এসেছিলেন ব্রিগেডে। শুক্রবার রাত থেকেই কলকাতায় আসতে শুরু করেন কর্মীরা। তাঁদের থাকার জন্য সল্টলেক স্টেডিয়াম, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোর, উত্তীর্ণ সহ একাধিক জায়গার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সরাসরি মুখ না খুললেও অনেকের অভিযোগ, SUCI এর সভার জন্য নিজেদের সবটা দিয়ে সহায়তা করেছে রাজ্যের শাসক দল।
প্রকাশ্যে শাসক দলের কেউ এবিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে অনেকেই জানিয়েছেন, যে কোনও রাজনৈতিক দল ব্রিগেডে সভা করলেই সরকারি সহায়তা পাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আবার এতে অন্য অঙ্ক দেখতে পাচ্ছেন। অনেকেই মনে করছেন, বিজেপি বিরোধী ভোট SUCI এর দিকে পাঠানোর চেষ্টা করছে শাসক দল। তাহলে রাম বিরোধী ভোট সরাসরি বামে না গিয়ে SUCI-এ পড়তে আখেড়ে লাভ রাজ্যের শাসক দলেরই।
SUCI বামপন্থী দল হলেও অতীতে শাসক দলের জোটসঙ্গী ছিল তারা। এমনকী, নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর পর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তারা। পাশাপাশি জয়নগর ও মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বেশ শক্তিশালী SUCI। বর্তমানে বিজেপি সেখানে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও তাদের বেগ দিতে সমর্থ হবে SUCI। সেকারণেই রাজনীতির অঙ্ক মেলাতেই ব্রিকেডের সভায় SUCI-কে ঘুরপথে সাহায্য তৃণমূলের। এমনই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।