কী হচ্ছে বাংলায় ? কার্যত তা চিঠির আকারে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দিয়ে এলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের গ্রেফতারি থেকে অনুব্রতর সময় কেনার খেলা- রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে ছত্রে ছত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নালিশ করেছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। চিঠিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় থেকে বাকি তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই চিঠির মাধ্যমে রাজ্য়ে কার্যত রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি ফের জানাল বিজেপি। কারণ, সুকান্তর দাবি, যদি একে একে তৃণমূল নেতারা জেলে চলে যান, তা-হলে তো রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রয়োজন পড়বে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে নিজেদের অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনকী, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের ব্য়াপারে অনীহা রয়েছে খোদ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও। এই পরিস্থিতিতে সুকান্ত জানিয়েছেন, যদি রাজ্য়ের নেতা-মন্ত্রীরা একে একে যদি জেলে চলে যান, তাহলে তো রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনেক প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে একইসঙ্গে তিনি মনে করেন, রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিষয়টি পুরোপুরি প্রশাসনিক বিষয়। এই ব্যাপারে সুকান্তর হাতিয়ার কলকাতা হাই কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ। যেখানে ১৯ তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তির বহর কী ভাবে বেড়েছে, তা খতিয়ে দেখতে এক জনস্বার্থ মামলায় ইডিকে পক্ষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুকান্তর এই অভিযোগকে খুব একটা আমল দিচ্ছে না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের একাংশের দাবি, রাজ্য়ের উন্নয়নের সামনে দিশা হারিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে ফের আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগে এই ঘটনাকে সুকান্তর অতি-সক্রিয়তা বলেই অভিযোগ তৃণমূলের একাংশের।