নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত মামলায় আর রাজসাক্ষী হওয়া হল না তাপস মণ্ডলের। রবিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে অপসারিত সভাপতি ও পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের এই ঘনিষ্ঠকেই গ্রেফতার করল সিবিআই। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই ঘটনায় তাপসের গ্রেফতারি নতুন দিশা দিতে পারে। আর তাপসের গ্রেফতারির পরেই মুখ খুলেছেন মৌসুমী কয়াল। কামদুনির অন্যতম প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী একসময় তাপসের দফতরের কর্মী ছিলেন। অভিযোগ, কোটি টাকা বাজার থেকে তুললেও কর্মীদের বেতন দিতেন না তাপস। তাঁরও বেতন বকেয়া বলেই অভিযোগ মৌসুমীর।
এর আগে এই ঘটনায় তাপসের নাম উঠতেই পরিচিত মুখ হিসাবে উঠে এসেছিল মৌসুমির নাম। বেশ কয়েক মাস মহিষবাথানে তাপসের দফতরে কাজ করেছিলেন তিনি। মৌসুমির অভিযোগ, মূলত রাজ্যের বিএড কলেজগুলির কাউন্সিলিংয়ের কাজ করতেন তাপস মণ্ডল। বাজার থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু অফিসে যে চা দিতেন, তাঁর বেতন এখনও বকেয়া রেখেছেন। মৌসুমির দাবি, তাপসের গ্রেফতারিতে অনেক বড় মাথা এই ঘটনায় জড়িয়ে যেতে পারেন। কারণ, হয়তো এখনও অনেক কথাই বলেননি তাঁর প্রাক্তন বস।
এদিকে তাঁর স্বামী নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন ধৃত তাপস মণ্ডলের স্ত্রী। বারাসতের কাঠোর অঞ্চলের বাসিন্দা সন্ধ্যা মণ্ডল জানিয়েছেন, এই বিষয় সম্পর্কে তাঁর কোনও কিছুই জানা নেই। তিনি একজন ছাপোষা গৃহবধূ। বাড়ির কাজকর্ম নিয়ে দিনরাত ব্যস্ত থাকেন। এর বাইরে সেভাবে আর কিছুই খেয়াল রাখেন না। এমনটাই দাবি সন্ধ্যা মণ্ডলের।