লোক পাঠিয়ে টাকা নিতেন মানিক ভট্টাচার্য। ইডি জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মন্ডল। অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য এই টাকা তোলা হত বলেই দাবি তাঁর। বুধবার এই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের হিসাব নিয়ে ইডি দফতরে হাজির হন তাপস।
২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তিনটি শিক্ষাবর্ষে টেটের জন্য ডিএলএড প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের থেকে নিয়মিতভাবে টাকা নেওয়া হয়েছে বলেই খবর। ডিএলএড প্রশিক্ষণের জন্য ৬০০টি কলেজে অফলাইনে ভর্তির জন্যই নেওয়া হত ওই বিপুল অর্থ। ইডি সূত্রে খবর, প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কেউ অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করাতে না পারলে তাঁদের নাম অফলাইনে নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করতেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। নাম তোলার বিনিময়ে মাথাপিছু নেওয়া হত প্রায় ৫ হাজার টাকা। এই পদ্ধতিতে মোট ২০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে জানিয়েছেন তাপস মন্ডল।
চতুর্থবার ইডি দফতরে এসে তাপস জানান, তাঁর মহিষবাথানের অফিসে ওই টাকার লেনদেন হত। অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্যই ওই টাকা নেওয়া হত বলে জানান তাপস। তবে মানিকের কাছ থেকে ওই টাকা কোথায় যেত, তা নিয়ে কিছু জানাতে পারেননি মানিক-ঘনিষ্ঠ।