হয় চাকরি দিন, নয় মরতে দিন । এই দাবিতে বুধবার কলকাতার বিভিন্ন কোণে জমায়েত করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা । ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্রসদন, দুপুরে একপ্রস্থ অ্যাকশন হওয়ার পরও রাতেও স্বস্তি মিলল না । অভিযোগ, শিয়ালদহ স্টেশনে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান হটিয়ে দেয় পুলিশ । তার আগে বিকেলে রবীন্দ্রসদনে বিক্ষোভ হটাতে গিয়ে পুলিশ বিরুদ্ধে উঠল মারাত্মক অভিযোগ । এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করলেন, তাঁর হাতে কামড়ে দিয়েছেন এক মহিলা পুলিশ । তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে লালবাজার ।
বুধবার সকাল থেকেই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা । প্রথমে তাঁরা শিয়ালদহে জমায়েত করা শুরু করেন । তারপর সেখান থেকে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ধর্মতলা, এক্সাইড মোড়ে জমায়েত করতে শুরু করেন । প্রস্তুত ছিল পুলিশও । টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভ আটকাতে সবরকমের প্রস্তুতি নিয়েছিল তাঁরা । ধর্মতলা থেকে মেট্রোয় চেপে তাঁরা সল্টলেকে যেতে পারেন, এই আশঙ্কায় সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয় । কিন্তু,ধর্মতলা ও এক্সাইড মোড়েই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি । টেট প্রার্থীদের আন্দোলনে পুলিশ বাধা দিতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় । দ্রুত নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা । এরপরই শুরু হয়ে যায় পুলিশি ধরপাকড় । একাধিক চাকরি প্রার্থীকে আটক করে পুলিশ । প্রিজন ভ্যানের সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা । মাথা ফাটে এক চাকরি প্রার্থীর । এর পরেই পুলিশের গাড়ির নিচে শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরি প্রার্থীরা । অভিযোগ, তাঁদের টেনে হিচড়ে গাড়িতে তোলে পুলিশ । শুধু তাই নয়, অভিযোগ, টেট আন্দোলনকারীদের মধ্যে এক মহিলার হাতে কামড়ে দিয়েছেন এক মহিলা পুলিশকর্মী।
জানা গিয়েছে, আন্দোলনকারীদের একটি দল ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন । তাঁদের দাবি, তাঁরা অভিষেকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্যই যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার আগেই তাঁদের বাধা দেন পুলিশকর্মীরা ।
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আগেও আন্দোলন করেছেন সল্টলেকে । কিন্তু, তাঁদের সেখান থেকে তুলে দেয় পুলিশ । তবে, বুধবারের আন্দোলনে অন্য কৌশল নেয় তাঁরা । কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আন্দোলনে বাধা দেয় পুলিশ । চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, যারা দুর্নীতিগ্রস্থ, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু, যাঁরা সমাজ গড়বে, সেইসব শিক্ষকদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে ।