তিনি আন্দোলনকারীদের ভালবাসেন। তবে যাঁরা নিজের নায্য অধিকারের জন্য আন্দোলন করেন। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরে টেটের আন্দোলন প্রসঙ্গে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যা হচ্ছে তা আদালতের নির্দেশ মেনেই। আদালতের নির্দেশকে সম্মান করে তাঁর সরকার। তিনি চান চাকরি যেন না যায়। কারণ, সবার চাকরি থাকুক এটাই তাঁর কাছে কাম্য। মুখ্যমন্ত্রীর একথার পরেও আমরণ অনশনে অনড় চাকরি প্রার্থীরা। সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে তিন জন আন্দোলনকারী অসুস্থও হয়ে পড়েন। যদিও তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসকার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, ইন্টারভিউতে বসতেই হবে। এছাড়া আর কোনও গতি নেই। কারণ, তিনি কোনও বেআইনি কাজ করতে পারবেন না। আর তাঁকে বেআইনি কাজে চাপ দেওয়া হলে, তিনিও পাল্টা অনশনে বসবেন। এটা তাঁরও অধিকার।
বৃহস্পতিবারই টেটের আন্দোলনে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালে টেট উর্ত্তীণদের পাল্টা এদিন করুণাময়ীর কাছেই অনশন শুরু করেছেন ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীরাও। তাদের অভিযোগ ২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীদের দু বার ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছে। তাদের এই ব্য়াপারে এবার অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই দাবি, এদিন খারিজ করে দিয়েছে পর্ষদ। এই ব্যাপারে মুখ্য়মন্ত্রী প্রশ্ন করা হলে, তিনি সাফ জানান, বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আরও বিস্তারিত বলতে পারবেন। কারণ, পুরো বিষয়টাই শিক্ষামন্ত্রীর অধীনে এবং তিনি-ই দেখছেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বরই শিক্ষক নিয়োগের ব্য়াপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, তার আগে যে কোনও তারিখে যদি টেট পাশ করে থাকেন, ট্রেনিং-ডিগ্রি থাকে তাঁরা একই নম্বর পাবেন। আগে পরের কোনও ব্যাপার নেই। অতএব শিক্ষক নিয়োগের ব্য়াপারে বৃহস্পতিবারও কড়া অবস্থানেই অনড় থাকল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।