ঠিক কী উদ্দেশ্যে স্ত্রী-র প্রতি এমন 'নারকীয়' আচরণ? মুখে বালিশ চাপা দিয়ে টিন কাটার কাঁচি দিয়ে তার স্ত্রী রেণুর (Renu Khatun) কব্জি কেটে নিয়েছিল মূল অভিযুক্ত শের মহম্মদ। স্ত্রী সরকারি চাকরি পেলে (Burdwan nurse attack) সংসার ছেড়ে চলে যেতে পারেন, শুধুমাত্র এই আশঙ্কাতেই কি? মঙ্গলবার রাতে শের মহম্মদকে (Sher Mohammad) গ্রেফতার করার পরে তাকে জেরা করে এইসব বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
স্ত্রী রেণুর (Renu Khatun) হাত কাঁচি দিয়ে কব্জি থেকে কেটে নিয়েছিল স্বামী শের মহম্মদ। অভিযোগ, সরকারি চাকরি পাওয়ার পরে বউ তাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে এই 'আশঙ্কা' থেকেই গত শনিবার রাতে দুই বন্ধুর সহায়তায় বউয়ের হাত কেটে ফেলে শের মহম্মদ। বর্ধমানের কেতুগ্রামের এই নারকীয় ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে মূল অভিযুক্তকে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে কেতুগ্রামের চিনিসপুরে বাসিন্দা শের মহম্মদ (Sher Mohammad) স্ত্রী রেণু খাতুনের কব্জি কেটে দেয়। সম্প্রতি সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পেয়েছিলেন রেণু (Renu Khatun)। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে চাকরি করতে দেবে না বলেই তাঁর কব্জি কেটে দিয়েছে স্বামী। কিন্তু তদন্তকারীরা বিষয়টিকে এতটা ‘সহজ’ ভাবে দেখতে রাজি নন। এটি হিমশৈলের চূড়া কি না, এর গভীরে আরও গূঢ় কোনও তথ্য লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তাঁরা।
গার্হস্থ্য হিংসার বিভিন্ন উদাহরণের কথা মনে করিয়ে দিয়ে এক তদন্তকারী অফিসার জানান যে তাঁর চাকরি জীবনে এমন বর্বরোচিত ঘটনা তিনি আর দেখেননি। তদন্তের স্বার্থে তো বটেই, অপরাধতত্ত্বের জায়গা থেকেও এর প্রকৃতিগত কারণের ব্যাখ্যা পেতে তাই উদগ্রীব তাঁরা।