ভারী বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবারও উত্তরবঙ্গে পরিস্থিতি প্রায় একইরকম। তবে জলপাইগুড়িতে খানিকটা আশঙ্কা তৈরি করেছে দুই নদীর জলপ্রবাহ। সেচ দফতর জানিয়েছে, এখনও ফুঁসছে তিস্তা। তারসঙ্গে জল বাড়ছে করোলাতেও। জানা গিয়েছে, গজলডোবা থেকে নতুন করে ফের জল ছাড়া হয়েছে। যার ফলে জলপাইগুড়ি জেলার দোমোহনি এবং তিস্তার কিছু এলাকা যা বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত সেখানে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উল্টোদিকে তিস্তার সংরক্ষিত এলাকা, বিশেষ করে জলঢাকা অঞ্চলে এখনও জারি আছে হলুদ সতর্কতা। এরমধ্যেই ভারী বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ির আশপাশ এলাকায় জল ঢুকেছে বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ৮৫ মিলিমিটার।
এদিকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে শিলিগুড়ির পরিস্থিতি। পুরনিগম সূত্রে খবর, শহরের বেশ কিছু এলাকায় জল ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। সোমবারের বৃষ্টিতে কার্যত বাণভাসি চেহরা নেয় শিলিগুড়ি। সেচ দফতর সূত্রে দাবি, ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা একদিনের বৃষ্টিপাতের নিরিখে রেকর্ড। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে কন্ট্রোল রুম তৈরি করে পুর প্রশাসন।
সন্ধ্যা নামতেই বৃষ্টির তেজ বাড়ে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে শিলিগুড়ির আকাশ বেশ পরিষ্কার। প্রশাসন সূত্রে খবর, অনেক এলাকাতে সকাল থেকে জল নেমেছে। যে জায়গায় জল আছে, সেখানেও জল নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।